বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

নীরব ঘাতক কিডনি রোগ

জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে

ভেজাল খাবার ও ওষুধের কারণে দেশে কিডনি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গত এক-দেড় দশকে দেশজুড়ে কিডনি রোগ ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। কিডনি রোগকে নীরব ঘাতক বলা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কিডনি নষ্ট হওয়ার পর দেখা যায় উপসর্গ। ন্যাফ্রাইটিস থেকে কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপকহারে বাড়ছে। সাধারণত খাদ্যে ভেজাল, ওষুধের অপব্যবহার ও ভেজাল ওষুধ সেবনের কারণে এ রোগ হয়। বিদেশে চাইলেই ফার্মেসি থেকে ওষুধ কেনা যায় না। সেখানে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রি হয় না। অথচ আমাদের দেশে যে কেউ ফার্মেসিতে গিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক কিনতে পারে। ক্ষতিকর ব্যথানাশক ওষুধ পাওয়া যায় অহরহ। এসব ওষুধ কিডনির ব্যাপক ক্ষতি করে। এশিয়া ও আফ্রিকার কিছু দেশে এক ধরনের কিডনি রোগ থাবা বিস্তার করছে। একে বিজ্ঞানীরা বলছেন ক্রনিক কিডনি ডিজিজ অব আননোন কজ। অর্থাৎ যার কোনো কারণ নেই। কারণ ছাড়াই কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। দেখা যায় শস্য-সবজিতে কীটনাশকের ব্যবহার বা প্রিজারভেটিভ সহনীয় মাত্রার তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। সেগুলোয় হেভি মেটাল অ্যালমিয়া, অ্যাডমিয়া বা আর্সেনিকের মতো হেভি মেটাল থাকে। অনেক দিন ধরে এসব খাওয়ার ফলে সংশ্লিষ্টদের ক্রনিক কিডনি ডিজিজ হচ্ছে।

এ ধরনের সমস্যা শ্রীলঙ্কায় সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশ ও ভারতেও পাওয়া যাচ্ছে এ ধরনের রোগী। বাংলাদেশে শাকসবজি উৎপাদনে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার ওপেন সিক্রেট। একইভাবে যথেচ্ছভাবে অ্যান্টিবায়েটিক ওষুধ ব্যবহারের প্রবণতাও বেশি; যা কিডনির জন্য বিপদ সৃষ্টি করছে। এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে। যারা কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের জীবন শুধু নয়, পুরো পরিবার জিম্মি হয়ে পড়ছে এ ঘাতক রোগের কাছে। কারণ কিডনি রোগের চিকিৎসা এমনই ব্যয়বহুল যে তা জোগাতে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে যায়। এ রোগ প্রতিরোধে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার বিষয়টি যেমন গুরুত্বের দাবিদার তেমন এড়াতে হবে যথেচ্ছভাবে ওষুধ ব্যবহারের প্রবণতা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর