শুক্রবার, ৩ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

জলবায়ু পরিবর্তন

টেকসই বাঁধ নির্মাণের বিকল্প নেই

জলবায়ু পরিবর্তনে উষ্ণ হয়ে উঠছে পৃথিবী। পৃথিবী উষ্ণ হয়ে ওঠার পেছনে রয়েছে শিল্পোন্নত ধনী দেশগুলোর পাপ। তারা জলবায়ু উষ্ণ হয়ে উঠতে পারে জেনেও একের পর এক পরিবেশবিধ্বংসী প্রকল্প গড়ে তুলছে। কার্বন নিঃসরণ করে বাড়াচ্ছে জলবায়ুর উষ্ণতা। জলবায়ুর এ পরিবর্তনে বাংলাদেশের বিন্দুমাত্র ভূমিকা না থাকলেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার এ অঞ্চলের মানুষ। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে উত্তর দিক দিয়ে ঢুকছে হিমালয়ের বরফ গলা পানি। সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ বন্যা।

নদী ভাঙনে উদ্বাস্তু হচ্ছে লাখো মানুষ। অন্যদিকে সাগরের পানির উচ্চতা বাড়ায় দক্ষিণ দিক দিয়ে দেশের মধ্যে ঢুকছে লবণপানি। নষ্ট হচ্ছে ফসলের মাঠ; যা খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলেছে। উন্নত দেশগুলো কার্বণ নিঃসরণ বন্ধ না করায় এ ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। ফলে জলবায়ু পরিবর্তন হবে ধরে নিয়েই বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব ঝুঁকি মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। লবণপানি ও নদী ভাঙন ঠেকাতে উঁচু করে টেকসই বাঁধ দিতে হবে। পরিবর্তিত আবহাওয়ায় সহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবনে গবেষণা বাড়াতে হবে। কার্বন নিঃসরণ কমাতে ২০২১ সালে বাংলাদেশ ১০টি কয়লা প্রকল্প বাদ দিয়েছে। অথচ যারা বিশ্বের সর্বোচ্চ দূষণের জন্য দায়ী, তারা এ ধরনের প্রকল্প বন্ধ করছে না। ফলে জলবায়ু পরিবর্তন অনিবার্য হয়ে পড়ছে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ সবচেয়ে ঝুঁকিতে। এটা মাথায় রেখেই ডেল্টা প্ল্যান সাজাতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনে যেহেতু ফসল উৎপাদনের সময় বদলে যাচ্ছে সেহেতু ওই সময়ের জন্য প্রয়োজনীয় বীজ খুঁজে বের করতে হবে। এ ছাড়া শুধু স্বল্পমেয়াদি ক্ষতি নয়, জলবায়ু পরিবর্তনে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি

ও উত্তরণের পথ খুঁজে বের করতে গবেষণা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি জলবায়ুর উষ্ণতা বাড়ানোয় দায়ী দেশগুলো থেকে আদায় করতে হবে ক্ষতিপূরণ। আবহাওয়ায় যে অশুভ পরিবর্তন ঘটছে তা ঠেকাতে না পারলে বিপন্ন হয়ে পড়বে বাংলাদেশ, মালদ্বীপসহ সমুদ্র সন্নিবেশিত দেশ। তাই এ ব্যাপারে আরও সোচ্চার হতে হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর