শনিবার, ৪ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার

নতুনভাবে উন্মোচন একটি সুখবর

একসময় মালয়েশিয়া ছিল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার। বিদেশে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে শ্রমজীবীদের কাছে প্রথম পছন্দ বলে বিবেচিত হতো মালয়েশিয়া। এর কারণ বাংলাদেশ থেকে এ দেশটি বেশ কাছের। দুই দেশের সাংস্কৃতিক মিলও অন্য যে কোনো শ্রমবাজারের চেয়ে বেশি। কিন্তু নানা কারণে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে। দেরিতে হলেও সেই শ্রমবাজার আবার উন্মোচিত হয়েছে। দুই দেশ এ ব্যাপারে যে সমঝোতায় পৌঁছেছে তাতে বলা হয়েছে, পাঁচ বছরে মালয়েশিয়া ৫ লাখ কর্মী নেবে বাংলাদেশ থেকে। এর মধ্যে এ বছরই নেওয়া হবে ২ লাখ। চলতি মাসেই শুরু হবে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া। বাংলাদেশ সফররত মালয়েশীয় মানবসম্পদ মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তাঁকে আশ্বাস দেওয়া হয় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে সব নিয়মকানুন, ভ্যাকসিনসহ প্রটোকল মেনে চলবে বাংলাদেশ। যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, নিরাপদ ও স্বল্প অভিবাসন ব্যয় নিশ্চিতে দুই দেশ কাজ করবে। মালয়েশীয় মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন তাঁর দেশ সব নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আইএলওর গাইডলাইন মেনে চলছে। ইতোমধ্যে কর্মজীবীদের বেতন বাড়িয়ে দেড় হাজার রিঙ্গিত করা হয়েছে। কর্মীদের বেতন দেওয়া হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। ফলে মালিকদের কাছ থেকে বেতন সরাসরি যাবে শ্রমিকদের কাছে। রিক্রুটিং এজেন্ট কিংবা অন্য কারও এতে স্থান থাকবে না। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার উন্মোচন নিঃসন্দেহে একটি সুসংবাদ। দেশের আমদানি ও রেমিট্যান্স আয়ে যখন সংশয় দানা বেঁধে উঠছে তখন মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মোচন বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে। বন্ধু এ দেশটিতে প্রয়োজনীয় শ্রমিকের অভাব থাকায় তারা পরে আরও বেশি কর্মী নিতে হয়তো উৎসাহিত হবে। তা নিশ্চিত করতে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া যাতে শতভাগ ত্রুটিমুক্ত হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকা জরুরি। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও রিক্রুটিং এজেন্টদের সুমতি কাম্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর