রবিবার, ৫ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা

খালগুলোর ভরাট হওয়া রোধ করুন

চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে নেওয়া একের পর এক প্রকল্প শুধু সরকারের অর্থদ-ই নিশ্চিত করছে। প্রকল্পগুলো সমস্যা সমাধানে কতটা অবদান রাখছে তা সংশয়াতীতভাবে বলা দুষ্কর। অল্প বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরের অধিকাংশ নিম্নাঞ্চলে হাঁটুপানি জমে যাওয়া অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার মাত্র ১৫-২০ মিনিটের বৃষ্টিতেই নগরের অনেক স্থানে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। দুর্ভোগ পোহাতে হয় নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের। সাধারণত জুনের প্রথম সপ্তাহে দেশে মৌসুমি বায়ু আসে। আর তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে দ্বিতীয় সপ্তাহ নাগাদ।

কিন্তু এবার মের শেষেই দেশে মৌসুমি বায়ু আসায় বৃষ্টি শুরু হয়।

ফলে বেশির ভাগ এলাকায় কখনো থেমে থেমে, কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। উপকূল ও উত্তরাঞ্চলে তুলনামূলক বৃষ্টি হচ্ছে বেশি। আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের সীমানায় ইতোমধ্যে প্রবেশ করে এখন মিয়ানমারের আরাকান ও বাংলাদেশের কক্সবাজারে অবস্থান করছে। শুক্রবারের বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম মহানগরের চকবাজার, ডিসি রোড, বাকলিয়া, ২ নম্বর গেট, মুরাদপুর, আগ্রাবাদ ও চান্দগাঁওয়ে পানি জমে যায়। চট্টগ্রাম মহানগরের খালগুলোর বেশির ভাগই অস্তিত্ব হারিয়েছে খালখেকোদের কবলে পড়ে। যেগুলোর অবস্থান টিকে আছে সেগুলোও দখলে-দূষণে অস্তিত্ব হারানোর পথে। খালগুলো নানা স্থানে ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। মাত্র ১৫-২০ মিনিটের বৃষ্টিপাতে চট্টগ্রাম মহানগরে জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ায় চলতি বছর ভরা মৌসুমে কী অবস্থা দাঁড়াবে তা নিয়ে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এ সংশয় কাটাতে চট্টগ্রাম মহানগরের উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব কর্তৃপক্ষকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। সরকারের অর্থ ব্যয় প্রকল্প বাস্তবায়ন শুধু নয়, সেগুলো কাজ করছে কি না তা নিশ্চিত করতে হবে। খাল খনন করে সেগুলো যাতে আবর্জনা ফেলার ভাগাড়ে পরিণত না করা হয় সে বিষয়টিও জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর