মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

দুর্ঘটনা না হত্যাকান্ড

চালকের বেখেয়ালি আচরণের শিকার ওরা

ঢাকার সাভারে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের তিন কর্মকর্তাসহ চারজন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতের মধ্যে দুজন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সিনিয়র কর্মকর্তা ও একজন প্রকৌশলী। অন্যজন গাড়ির চালক। রবিবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে কুষ্টিয়া থেকে গরুবোঝাই ট্রাক ও  সেইফ লাইন নামের একটি বাস যাচ্ছিল। সেইফ লাইনের বাসটি হঠাৎ বাঁ পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসকে ধাক্কা দেয়। এরপর ডান পাশে থাকা গরুবোঝাই ট্রাকটিকে সামনের দিকে ধাক্কা দিয়ে সড়ক বিভাজকের ওপর দিয়ে মহাসড়কের আরিচামুখী লেনে চলে আসে। পাশে জায়গা না থাকায় ট্রাকটিও সড়ক বিভাজকের ওপরে উঠে আরিচামুখী লেনে চলে আসে। এ সময় আরিচামুখী লেনে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের একটি স্টাফ বাসের সামনের দিকে সজোরে ধাক্কা দেয় সেইফ লাইনের বাসটি। স্থানীয় লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে সাভারের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, হঠাৎই বাসটি বেপরোয়া গতিতে টার্ন নেয়। এ ক্ষেত্রে অন্য গাড়িগুলোর চালকদের কিছুই করার ছিল না। এটাকে দুর্ঘটনা না বলে হত্যাকান্ড

বলাই সঠিক হবে। দুর্ঘটনার খবর শুনে আহতদের দেখতে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। তিনি সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ ও ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, আমরা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় কষ্টের টাকায় একেকজনকে তৈরি করি। দুর্ঘটনায় যে চারজন মারা গেছেন তার মধ্যে দুজন সিনিয়র ও একজন মিড লেভেলের কর্মকর্তা, যাদের শূন্যস্থান পূরণ করা যাবে না- যা খুবই হতাশাজনক। সাভারে যাত্রীবাহী বাস চালকের বেপরোয়া টার্নের কারণেই পরমাণু শক্তি কমিশনের স্টাফবাসটি দুর্ঘটনায় পড়ে। নিশ্চিতভাবে বলা যায় যাত্রীবাহী বাসচালকের বেখয়ালি আচরণের কারণেই চারটি মূল্যবান প্রাণের অপচয় হলো। দুর্ঘটনার আদলে সংঘটিত হত্যাকান্ডে জড়িতদের কঠোর সাজা হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর