বুধবার, ৮ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

চালের বাজারে অস্থিরতা

আমদানির উদ্যোগ ইতিবাচক

চাল ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে দেশজুড়ে মজুদবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি বিদেশ থেকে চাল আমদানির প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এ চাল আমদানি হবে বেসরকারি পর্যায়ে। স্মর্তব্য, দেশের ৫১ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম ধান ওঠার মৌসুমে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সারা দেশে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে বোরো চাষ এবং সন্তোষজনক উৎপাদন সত্ত্বেও ভরা মৌসুমেও পর্যাপ্ত পরিমাণ নতুন চাল বাজারে আসেনি। মিল মালিকদের হাতে গত বছরের চাল মজুদ থাকায় তারা নতুন চাল মজুদ রেখে আগের চাল বাজারে ছাড়ছে। এজন্য কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা চলছে এমন ধারণা বোদ্ধাজনদের। এ প্রেক্ষাপটে অবৈধভাবে চাল মজুদের বিরুদ্ধে অভিযানের পাশাপাশি বিদেশ থেকে চাল আমদানিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সরকারের এ উদ্যোগের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন না থাকলেও বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি কতটা সফল হবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ গত বছরও জুলাই-আগস্টে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে শুল্ক কমিয়ে সাত দফায় মোট সাড়ে ১৬ লাখ টন সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়। এসব চাল আনতে ৪ শতাধিক ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। চাল আমদানিতে আগ্রহী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো শেষ পর্যন্ত মাত্র সাড়ে ৩ লাখ টন চাল আমদানি করেন। ওই সময় যারা চাল আমদানির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তারা জানান, বেসরকারি পর্যায়ে সাধারণত ভারত থেকে চাল আমদানি করা হয়। শুল্ক কমিয়ে সরকার যে মূল্য নির্ধারণ করেছিল তাতে তাদের কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা পর্যন্ত লোকসান গুনতে হয়েছে। এ কারণে সরকারি অনুমতি পেলেও ব্যবসায়ীরা চাল আমদানিতে অনীহা দেখিয়েছেন। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এ বছর প্রধান খাদ্য গমের বাজার চড়া। চালের দামে তার প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে। যে কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারিভাবে চাল আমদানির প্রস্তুতিও রাখতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর