সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ও গুলশান ক্লাবে মেহনাজ রশীদের চাকরি

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক

দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ও গুলশান ক্লাবে মেহনাজ রশীদের চাকরি

কদিন আগে বিএনপির এক নেতা প্রকাশ্যেই বলে ফেলেছেন ‘’৭৫-এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’। ’৭৫-এর হাতিয়ার দিয়ে যে সপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল, সে কথা জানার জন্য তো আর গবেষণার দরকার নেই। তাই ’৭৫-এর হাতিয়ার আবার গর্জানোর কথা যারা বলছে, তাদের উদ্দেশ্য এবং পরিকল্পনা দিবালোকের মতোই স্পষ্ট। সমসাময়িককালে জানাজানি হওয়া আর একটি ঘটনা হলো এই যে, বঙ্গবন্ধুর অন্যতম খুনি চাকরিচ্যুত কর্নেল খন্দকার রশীদের কন্যা, মেহনাজ রশীদকে ঢাকা শহরের অন্যতম অভিজাত গুলশান ক্লাবের প্রশাসন শাখার উপমহাব্যবস্থাপক পদে বেশ কয়েক মাস আগেই চাকরি দেওয়া হয়েছে। একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে এ দুই ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া কঠিন নয়। আমরা সবাই জানি গত কয়েক মাস ধরে বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারকে অসাংবিধানিক পন্থায় হটাতে দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে। এটাও কারও অজানা নেই যে, সেই ষড়যন্ত্রের মূল ক্রীড়নক তারাই যারা পাকিস্তান ভেঙে ধর্মনিরপেক্ষ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সহ্য করতে পারেনি, যার জন্য তারা ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের জনককে হত্যা করেছিল। এটাও সবাই জানেন যে, এ ষড়যন্ত্রে পাকিস্তানের ছিল সিদ্ধান্তকারী ভূমিকা। জিয়ার নেতৃত্বে যে চক্রটি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, পরে তারা ‘ফ্রীডম পার্টি’ নামে একটি রাজনৈতিক দল সৃষ্টিই করেনি, খালেদা জিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনও করেছে। সে দল যে এখনো সদর্পে জীবিত আছে তারই অন্যতম প্রমাণ খুনি রশীদকন্যা মেহনাজ রশীদের গুলশান ক্লাবে গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি প্রাপ্তি।

নিশ্চিতভাবে প্রাপ্ত তথ্যমতে, মেহনাজকে আট মাস আগে গুলশান ক্লাবের উপমহাব্যবস্থাপকের পদটি প্রদান করা হয়। ওই ক্লাবের কর্মচারী নিয়োগের কাজটি করেন ক্লাবের নির্বাচিত সভাপতি এবং কার্যকরী সংসদের অন্য সদস্যরা। স্বাভাবিক নিয়মেই পদপ্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্ত চাওয়া ও বিবেচনা করা হয়। সে অর্থে মেহনাজ রশীদের পিতৃপরিচয় চাকরিদাতাদের জানা ছিল না, সে কথা বলার সুযোগ নেই। তা ছাড়া ক্লাবের কেউ বলছেনও না যে, মেহনাজ তার জীবনবৃত্তান্তে পিতৃপরিচয় গোপন করেছিল। তদুপরি জীবনবৃত্তান্তের সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রও প্রদান করতে হয়, বিশেষ করে এমনি একটি পদের জন্য, যেখানে বেশ উঁচুমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা দরকার। পদটির অন্যতম কাজ ছিল ক্লাবের জন্য একটি ইংরেজি সাময়িকী প্রকাশ, যার জন্য ইংরেজি শিক্ষায় পারদর্শিতা ছিল অপরিহার্য, আর তা প্রমাণের জন্য দরকার ছিল শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট। সে সার্টিফিকেটে তার পিতার নাম নিশ্চয়ই ছিল। সুতরাং কর্তৃপক্ষ তার পিতৃপরিচয় জেনেই তাকে পদটি দিয়েছিলেন, এটা ধরে নেওয়াই স্বাভাবিক। সে সময় ক্লাবের সভাপতি ছিলেন সাইফুর রহমান নামে সেনাবাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত এক ক্যাপ্টেন। যতটুকু জানা গেছে, তিনি এখন একজন ব্যবসায়ী বই কিছু নন, তার তেমন কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শ আছে, এমন কথাও শোনা যায়নি। এও জানা গেছে, তার নিয়োগের ব্যাপারে কারও কারও আপত্তি ছিল, যা মানা হয়নি। তবে সবচেয়ে ভয়ংকর কথাটি হলো এই যে, মেহনাজ তার স্বামীর পরিচয় দিলে ক্লাব কর্তৃপক্ষ পদটি তাকে দিতে অনেকটা বাধ্য হয়েছিলেন। তার স্বামী রাফিকুল ইসলাম (রাফি) বর্তমান সরকারের এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর খালাতো ভাই এবং সে বিবেচনায়ই তাকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। অবশ্য তাকে চাকরি প্রদানের জন্য উপরোক্ত মন্ত্রী কোনো ভূমিকা রেখেছিলেন বলে জানা যায়নি। তাকে চাকরিদাতা কমিটি বেশ কয়েক মাস আগেই বিলুপ্ত হয়ে নতুন যে কমিটি নির্বাচিত হয়, সভাপতি হিসেবে তার নেতৃত্বে রয়েছেন রফিকুল আলম হেলাল, যিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর জামাতা। বর্তমান কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের পরও মেহনাজ কয়েক মাস ওই পদে বহাল থেকেছে। তাকে পদে নিযুক্ত রাখার পেছনে বর্তমান কমিটির কোনো গোপন ইচ্ছা ছিল, এমন দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ না থাকলেও স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে এত দীর্ঘ সময়েও কি বর্তমান কমিটি মেহনাজের পরিচয় জানতে পারেনি? দাবি করা হচ্ছে, তার পিতৃপরিচয় পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মেহনাজকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

মেহনাজ কেন চাকরির জন্য গুলশান ক্লাব বেছে নিয়েছিল, তার জবাব বেশ স্পষ্ট। গুলশান ক্লাবের এমন অনেক সদস্য রয়েছেন যাদের কাছে রয়েছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় তথ্য-উপাত্ত। তাদের কেউ কেউ ক্লাবে মাঝেমধ্যে মাত্রাতিরিক্ত সুরা পান করে কিছুটা অবচৈতন্য হয়ে পড়েন, যা একটি অপ্রকাশিত বাস্তবতা। সুরা পান করে অবচৈতন্য অবস্থায় মানুষ ইচ্ছার বিরুদ্ধে এমন অনেক কিছু বলে ফেলেন, যা তিনি স্বাভাবিক অবস্থায় বলবেন না। এমনি এক ঘটনা ৬০-এর দশকে যুক্তরাজ্যে ঘটেছিল যখন ক্রিস্টান কিলার নামে এক রূপসী মহিলাকে লাগানো হয়েছিল বিলেতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন প্রোফিউমোর কাছ থেকে গোপন তথ্য সংগ্রহ করার জন্য। এ উদ্দেশ্যে ক্রিস্টান কিলার প্রোফিউমোকে অতিরিক্ত হুইস্কি পান করিয়ে, তাকে মাতাল অবস্থায় ফেলে তার কাছ থেকে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য হাতিয়ে নিয়েছিল। রূপসী মেয়েদের গোয়েন্দাকাজে ব্যবহার করার আরও অনেক ভূরিভূরি নজির রয়েছে বিশ্বব্যাপী। ’৮০-এর দশকে ইসরায়েলি আণবিক বিজ্ঞানী মার্দেকাই ভানুনু বিলেতে রাজনৈতিক আশ্রয় নিলে তাঁকে বিলেত থেকে অপহরণের জন্য ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এক রূপসীকে লাগিয়ে ভানুনুকে মহাসমুদ্রের মাঝে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল, যেখান থেকে ইসরায়েলি নৌবহর ভানুনুকে ইসরায়েলে নিয়ে গিয়েছিল। মেহনাজকে ক্লাবের ম্যাগাজিন সম্পাদনার দায়িত্ব দেওয়ায়, তার সুযোগ হয়েছিল ক্লাবের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার এবং সখ্য গড়ার। জানা গেছে, ব্যারিস্টার তাপস হত্যাপ্রচেষ্টা মামলার এই আসামি জামিন পেয়েই পাকিস্তানে পাড়ি দিয়েছিল, যেখানে তার খুনি বাবা এবং মাও ছিল। সে সুযোগটি পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই লুফে নিয়েছিল মেহনাজকে গোয়েন্দাকাজে প্রশিক্ষণ দিতে। তা ছাড়াও মেহনাজ বেশ কিছুকাল ১/১১ কালে আলোচিত গোয়েন্দা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারীর বান্ধবী ছিল। এসব কারণে গোয়েন্দা কার্যকলাপে সে সিদ্ধহস্ত আর তার এ বৈশিষ্ট্য কাজে লাগিয়ে বর্তমান সরকারের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যেই সে গুলশান ক্লাবকে বেছে নিয়েছিল। সেই ক্লাবে যেমন রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন সাহেবের মতো গভীর বঙ্গবন্ধু অনুসারী, তেমনি রয়েছেন খালেদা জিয়ার ভ্রাতাসহ, জিয়ার অনেক আত্মীয়, রয়েছেন হাওয়া ভবনের মালিক, খালেদার বর্তমান বাসস্থান ‘ফিরোজার’ মালিক, বহু উর্দুভাষী পাকিস্তানপ্রেমী, যাদের অনেকে সাকা চৌধুরীকে রক্ষা করার জন্য হেন কিছু নেই, যা করেননি। এ ক্লাবে পাকিস্তান হাইকমিশন কর্মকর্তাদের আনাগোনার কথা গোপন কিছু নয়। মেহনাজের খুনি পিতা এবং মাতা পাকিস্তানে পালিয়ে থেকে বাংলাদেশে ফ্রীডম পার্টি নিয়ন্ত্রণ করছে। সুতরাং তাদের কাছে এবং পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার কাছে গুরুত্বপূর্ণ খবরাখবর পাচার করার উদ্দেশ্য নিয়েই যে মেহনাজ এ ক্লাবে চাকরি নিয়েছিল, সে ব্যাপারে সন্দেহ করার অবকাশ খুবই কম। মেহনাজের পিতা খন্দকার রশীদসহ তার মা জোবায়দা রশীদও যে বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত ছিল, তার পক্ষে ভূরিভূরি তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার কারণে তাকেও হত্যা মামলায় চার্জশিটভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এটি জাতীয় দুর্ভাগ্য যে, জোবায়দা রশীদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলে বিচারপতি বদরুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি আবদুল মতিনের দ্বৈত বেঞ্চ তাকে খালাস দিয়ে দেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মুখ্য প্রসিকিউটর সিনিয়র অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক সাহেব হাই কোর্টকে বলেছিলেন, লেডি ম্যাকবেথ যেমন তার স্বামীকে উসকানি দিয়েছিল রাজাকে হত্যা করতে, জোবায়দা রশীদও তেমনি তার স্বামী খন্দকার রশীদকে প্ররোচিত করেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে। কিন্তু হাই কোর্টের ওই দ্বৈত বেঞ্চ কোনো কথা না শুনেই জোবায়দাকে খালাস দেন, আর জোবায়দা খালাস পেয়েই কালবিলম্ব না করে তার পেয়ারা পাকিস্তানে পাড়ি জমায়, যেখানে বসে সে বাংলাদেশে কর্মরত ফ্রীডম পার্টিকে পরিচালিত করছে তার স্বামী এবং পাকিস্তান গোয়েন্দা বাহিনীর সহায়তায়। জোবায়দা রশীদকে খালাস দেওয়া রায়টি কতখানি যৌক্তিক এবং আইনসংগত ছিল, সেটি নিশ্চয়ই কোনো না কোনো সময় গবেষণার বিষয়বস্তু হবে বলে বহু বিজ্ঞ আইনজ্ঞ মনে করছেন।

মেহনাজকে এত গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল করতে ক্লাব কর্তৃপক্ষের কী ভূমিকা ছিল, তদন্ত ছাড়া তা বলা যাবে না, আর তাই এ ব্যাপারে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা সময়ের দাবি, কেননা আপাতদৃষ্টিতে এটা ভাবার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার জন্যই মেহনাজ এ চাকরিটি নিয়েছিল এবং ক্লাব কর্তৃপক্ষ যদি তার পরিচয় জেনেশুনে তাকে চাকরিটি দিয়ে থাকে তাহলে তারাও দায়বদ্ধতা এড়াতে পারেন না। একে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই, কেননা এখানে জড়িত রয়েছে রাষ্ট্রের এবং রাষ্ট্রের শীর্ষ ব্যক্তিদের নিরাপত্তার বিষয়। যদিও তাপস হত্যাপ্রচেষ্টা মামলাটির এখনো সুরাহা হয়নি, কিন্তু মেহনাজের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গিয়েছিল বলেই তাকে আসামি করা হয়েছে। এটি প্রমাণ করছে যে তার খুনি পিতা-মাতার মতো সেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এই সরকারের ক্ষতি করতে বদ্ধপরিকর।

খুনি রশীদ এবং ফ্রীডম পার্টির অন্য কজন যে জুবিলি ব্যাংক নামে বাংলাদেশে এখনো একটি ব্যাংক চালাচ্ছে, সে কথা খুব কম লোকই জানেন। ব্যাংকটির কুষ্টিয়ার শাখায় অন্য ১০টি ব্যাংকের মতোই প্রতিনিয়ত ব্যাংকিং কার্যকলাপ চলছে একজন জেনারেল ম্যানেজারের নিয়ন্ত্রণে। তদুপরি ঢাকা শহরে ব্যাংকটির একটি প্রধান দফতরও রয়েছে। বহু বিলম্বে হলেও সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যাংকের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মহামান্য হাই কোর্টের আদেশ পেয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এ ব্যাংকের মাধ্যমে ফ্রীডম পার্টির লোকসহ অন্যান্য মুক্তিযুদ্ধ-চেতনার বিরোধীদের কাছে বহু টাকা পাচার করা হয়েছে, যে বিষয় নিয়ে এখন তদন্ত চলছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের এই ব্যাংক জিইয়ে রাখতে সাহায্য করেছিল, তাদের ব্যাপারেও তদন্ত চলছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ পদক্ষেপকে অবশ্যই সাধুবাদ জানাতে হয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই ফ্রীডম পার্টি কীভাবে এখনো সদর্পে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে? কারা রয়েছে এর পেছনে? এসব তথ্য মূল থেকে খুঁজে বের করা আমাদের দেশের নিরাপত্তার জন্য, আমাদের অস্তিত্বের জন্য অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে জানা গেছে, গুলশানের যে বিলাসবহুল বাড়িতে মেহনাজ রশীদ বসবাস করে, তার খুনি পিতা খন্দকার রশীদই সেই বাড়ির মালিক। আবারও প্রশ্ন, যে খুনি বঙ্গবন্ধু হত্যার অপরাধে ফাঁসির দন্ডে দন্ডিত হয়ে বিদেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছে, সে কী করে বাংলাদেশে বাড়ির মালিক থাকতে পারে? যেখানে দেশে-বিদেশে চলছে গভীর ষড়যন্ত্র, সে অবস্থায় ফ্রীডম পার্টির এ কর্মকান্ডগুলো বিস্তারিতভাবে তদন্ত করতে হবে, আর সে উদ্দেশ্যে মেহনাজ রশীদকে এবং যারা তাকে চাকরি পেতে সহায়তা করেছিল তাদের সবাইকেই আনতে হবে তদন্তের আওতায়।

                লেখক : আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।

সর্বশেষ খবর