সোমবার, ২০ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

কর্মসংস্থানের রোডম্যাপ

দক্ষ জনশক্তি তৈরির উদ্যোগ নিন

দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে সরকার কর্মসংস্থানের ওপর জোর দিয়েছে। নিজেদের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে এ কৌশল কাজে লাগাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সরকার আগামী তিন বছরের যে কর্মসংস্থান নীতি গ্রহণ করেছে, তাতে বৈদেশিক কর্মসংস্থানে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আলোচ্য সময়ে বিদেশে কাজের সুযোগ তৈরি করার লক্ষ্য ধার্য করা হয়েছে। অর্থ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী আগামী তিন বছরে প্রায় ৭২ লাখ লোকের নতুন কর্মসংস্থানের লক্ষ্য ধার্য করা হয়েছে; যার মধ্যে দেশে চাকরি হবে ৫১ লাখের, বাকি ২১ লাখ লোককে বিদেশে পাঠানো হবে কাজের জন্য। এর মধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮ লাখ ১০ হাজার বাংলাদেশি কর্মীর বৈদেশিক কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার কথা বাজেট ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়েছে। মধ্যমেয়াদে যে কর্মসংস্থান নীতি তৈরি করা হয়েছে, সেখানে বৈদেশিক কর্মসংস্থানেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর ফলে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জিত হবে। করোনা মহামারির পর ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী যে সংকট তৈরি করেছে, সেই বিবেচনায় এ মুহূর্তে সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে রয়েছে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স বাড়ানোর বিষয়টি। স্মর্তব্য, প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ শ্রমশক্তি বাজারে আসে। তবে করোনার কারণে গত দুই বছরে যে বেকারত্ব তৈরি হয়েছে, সেই অংশটিকেও কর্মসংস্থানে যুক্ত করতে হবে।  সরকারের হিসাব অনুযায়ী আগামী তিন বছরে প্রতি বছর নতুন শ্রমশক্তি ২ দশমিক ২ শতাংশ হারে বাড়বে। এই নতুন শ্রমশক্তির সিংহভাগ অর্থাৎ দুই-তৃতীয়াংশের জন্য দেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। বাদ বাকি এক-তৃতীয়াংশে নানা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলে বিদেশে পাঠানো হবে। এর ফলে অদক্ষ কর্মজীবীদের চেয়ে তারা বিদেশে প্রায় দ্বিগুণ অর্থ আয় করতে পারবে। এ অর্থের সিংহভাগ যেহেতু রেমিট্যান্স হিসেবে দেশে আসবে সেহেতু সমৃদ্ধ হবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। রেমিট্যান্স খাতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বৃদ্ধি পেলে তা দেশের অর্থনীতির ভিতকে সবল করবে। রোধ করবে মূল্যস্ফীতি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর