মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই

আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতেও সংকট

বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোয় প্রশাসনের উদ্যোগে আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে এবং সর্বত্রই এখন ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই অবস্থা। আশ্রয় কেন্দ্রের বাইরে সিলেট ও সুনামগঞ্জের হাজার হাজার মানুষ নিজঘরে বন্দি। এ দুই জেলার ভয়াবহ বন্যায় মানবিক বিপর্যয়ের শঙ্কা তৈরি করছে। সুনামগঞ্জের সঙ্গে সিলেটের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সিলেটের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে বিপুলসংখ্যক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। মহানগরের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করায় তাদের কাছে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দেওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। সিলেট উপশহরের কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী বুকসমান পানিতে নেমে মাইকিং করে এ গলি সে গলি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সঙ্গে করে তারা নিয়ে যাচ্ছেন পানির বোতল। স্বেচ্ছাসেবী দলের একজন বিবিসিকে বলেছেন, তার এলাকা এক তলা সমান পানিতে ডুবে গেছে। দু-তিন তলায় কেউ আছেন কি না তাঁরা খুঁজে দেখছেন এবং তাদের অন্তত খাবার পানি দিয়ে সাহায্যের চেষ্টা করছেন। ওই এলাকায় বিত্তবানেরা থাকলেও সেখানে দোতলা থেকে চার তলা পর্যন্ত বাড়িতে মানুষ আটকে আছেন। যারা বারান্দা থেকে পানি চাচ্ছেন তাদের পানি দিচ্ছেন তারা। পানির গভীরতা যেখানে আরও বেশি, সেখানে স্বেচ্ছাসেবীরা যেতে পারছেন না। সুনামগঞ্জের মতো সিলেটেও এখন মোবাইলের নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে, তবে ক্ষণিকের জন্য। এ কারণে কে কোথায় আশ্রয় নিয়েছেন তার খবর নিতে পারছেন না পরিবার বা স্বজনরা। ভয়াবহ বন্যা সরকারের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। শুধু সিলেট-সুনামগঞ্জ নয়, দেশের এক বড় অংশ এখন বন্যাকবলিত। পাহাড়ি ঢল আর ভারী বৃষ্টি চলতে থাকলে রাজধানীও প্লাবিত হতে পারে। আগেভাগে এমন আশঙ্কার কথা বলেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। আজ প্রধানমন্ত্রী নিজেই যাবেন বন্যাদুর্গতদের মধ্যে। বন্যার্তদের ত্রাণে সম্ভাব্য সবকিছু করার আশ্বাস দেবেন। তাদের সাহস জোগাবেন। তবে এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুধু সরকার নয়, বিরোধী দল, সব সামাজিক সংগঠনসহ পুরো জাতিকে এক হতে হবে। দাঁড়াতে হবে আর্তদের পাশে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর