মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

বাসমালিকদের দাপট

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও বোধোদয় হোক

যানজটমুক্ত নগর উপহার দেওয়ার গালভরা প্রতিশ্রুতিতে বছরের ২৬ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে রাজধানীর একটি নির্দিষ্ট রুটে চালু করা হয়েছিল ঢাকা নগর পরিবহন। কিন্তু পুরো নগর পরিবহন গত ছয় মাসে স্বস্তিদায়ক গণপরিবহন উপহার দেওয়ার বদলে অশ্বডিম্ব প্রসব করেছে। পরিবহনসেবাটি ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত চালু হলেও নানা অব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ হতে চলেছে। একই রুটে চলছে নগর পরিবহনের সঙ্গে ব্যক্তিমালিকানাধীন অন্য পরিবহনও। যাত্রীছাউনির কোনোটা বেদখল হয়ে পড়েছে আবার কোনোটা থেকে যাত্রী ওঠানামা করছে না। এ রুটে প্রাথমিকভাবে ১০০ পরিবহন দিয়ে যাত্রার কথা থাকলেও এখনো ৫০টি বাস দিয়ে চলছে সেবা। তবে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ অব্যবস্থাপনার কথা স্বীকার করলেও দোষারোপ করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও পরিবহন মালিক পক্ষকে। তারা বলছেন, চিঠি দিলেও রুট পারমিটবিহীন বাসের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে না পুলিশ। আর মালিক পক্ষ দিচ্ছেন না বাস। গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে মোহাম্মদপুর, গুলিস্তান-মতিঝিল হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড ও কাঁচপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমটার পথে পরীক্ষামূলক বাস সার্ভিস চালু করে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি। ১০০ বাস দিয়ে যাত্রার কথা থাকলেও বাসমালিকদের সাড়া না পেয়ে বিআরটিসির ডাবল ডেকারের ৩০ ও ব্যক্তিমালিকানাধীন ২০টি পরিবহন নিয়ে নগর পরিহনের যাত্রা হয়। এ ৫০টি বাসও নিয়মিত চলে না প্রতিদিন। মেরামত কাজসহ নানা অজুহাতে ১০-১২টি অনুপস্থিত থাকে। একই রুটে ব্যক্তিমালিকানাধীন অন্য কোম্পানির বাসগুলো নগর পরিবহনের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৩টি রুটের ৩৮২টি বাস নগর পরিবহনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যেখানে ইচ্ছা সেখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠাচ্ছে-নামাচ্ছে। পরিণতিতে তাদের কাছে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মার খাচ্ছে নগর পরিবহন। মালিকপক্ষের সঙ্গে পুলিশের একটি অসৎ অংশের যোগসাজশে পরিবহনের বাইরের বাসগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সক্রিয়তা প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর