বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

বন্যার ক্ষয়ক্ষতি

কৃষি পুনর্বাসন জোরদার করুন

প্রধানমন্ত্রী বন্যাকবলিতদের আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, তাদের ঘাবড়ানোর কিছু নেই। বন্যা মোকাবিলায় সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষকে সব সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করেই চলতে হয়েছে। সে কথা মনে রেখে অঞ্চলভিত্তিক অবকাঠামোর ওপরও তিনি জোর দেন। বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সিলেট সার্কিট হাউসে মতবিনিময় সভায় দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস খুবই সময়োপযোগী এবং তাৎপর্যের দাবিদার। সরকার বন্যায় কৃষিসহ সব ক্ষেত্রে কী কী ক্ষতি হয়েছে তার হিসাব করার নির্দেশ দিয়েছে। সাধারণভাবে মনে করা হচ্ছে দেশের চলমান বন্যায় এ পর্যন্ত ১৬ জেলার ১ লাখ ১৩ হাজার ২৯৭ হেক্টর ফসলি জমি ডুবে গেছে। পানিবন্দি কমবেশি ৩২ লাখ মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষের লাখ লাখ বাড়িঘর এখন বন্যার পানিতে ভাসছে। বানের পানিতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক শ কিলোমিটার রাস্তাঘাট। ভেঙে গেছে জাতীয় ও আঞ্চলিক সড়ক-মহাসড়ক। ভেসে গেছে কমবেশি ৭২ হাজার গরু ও মাছের খামার। শুধু মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ খাতেই প্রাথমিক ক্ষতির পরিমাণ ৬০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। কৃষিমন্ত্রীর মতে, চেরাপুঞ্জিতে তিন-চার দিনে প্রায় ২ হাজার ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এটা ১২২ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। ফলে সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ  ভয়াবহভাবে প্লাবিত হয়। তবে ওই সময় ফসল মাঠে খুব একটা ছিল না। তার পরও সিলেটের ২২ হাজার হেক্টর জমি ও সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ মিলে প্রায় ২৮ হাজার হেক্টর আউশ ধানের ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া কুড়িগ্রাম, নীলফামারীতে ৫৬ হাজার হেক্টর জমির ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ চিত্র পাওয়া যাবে চূড়ান্ত হিসাবের পর। বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে মাছ সম্পদের। পানিতে ভেসে গেছে হাজার হাজার পুকুরের মাছ। গবাদি পশুর ক্ষয়ক্ষতিও প্রচুর। বন্যার্তদের সাহায্য দেওয়ার জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। সামাজিক সংগঠনগুলোকেও উৎসাহিত করা হচ্ছে। নেওয়া হচ্ছে কৃষি পুনর্বাসনের ব্যবস্থা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর