শনিবার, ২৫ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

তোরা সব জয়ধ্বনি কর

পদ্মা সেতু আমাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা

তোরা সব জয়ধ্বনি কর। আজ বাঙালির জয়ধ্বনি করার দিন। ৫১ বছর আগে বাঙালির সেরা অর্জন স্বাধীনতা এসেছিল ২৪ বছরের লড়াইয়ের ফলে। দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা শুরুর পরপরই একাত্তরের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতি যে ত্যাগ স্বীকার করেছে দুনিয়ার ইতিহাসে তার দ্বিতীয় কোনো নজির নেই। ৩০ লাখ মানুষ আত্মাহুতি দেয় মুক্তিযুদ্ধে। ২-৩ লাখ মা-বোন নিগৃহীত হন দখলদার বাহিনী ও তাদের মোসাহেবদের দ্বারা। ১ কোটি মানুষ আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় প্রতিবেশী দেশে। কয়েক লাখ ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে নরপশুরা। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বাংলাদেশ। তার পরও বাঙালিই মুক্তিযুদ্ধে জিতেছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে অর্জিত হয় মুক্তিযুদ্ধের বিজয়। যে বিজয় বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের রাজনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। স্বাধীনতা তথা মুক্তিযুদ্ধের বিজয় সন্দেহ নেই জাতির সবচেয়ে মহত্তম অর্জন। তবে স্বীকার করতেই হবে, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা পরিপূর্ণতা পায় না। স্বাধীনতার শত্রুরা বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ঠেকাতে ব্যর্থ হলেও স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের লড়াইয়ে বাদ সাধতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয় তাঁর আমলেই। বিশ্বব্যাংক এ বিশাল প্রকল্পে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতির শেষ  মুহূর্তে কল্পিত অভিযোগ তুলে সরে দাঁড়ায়। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সাহস দেখিয়ে বাংলাদেশ প্রমাণ করছে এ জাতি হার মানতে রাজি নয়। আজ পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাধ্য্যমে বাঙালি অর্জন করছে আরেক মহিমান্বিত বিজয়। যে বিজয় অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর