সোমবার, ২৭ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

বন্যার ক্ষয়ক্ষতি

কৃষি পুনর্বাসনের প্রস্তুতি নিন

বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে এবং তা ইতোমধ্যে ৮২ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৫১ জনই সিলেট বিভাগে। ময়মনসিংহ বিভাগে ২৭ এবং রংপুরে চারজন। জেলাভিত্তিক মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সুনামগঞ্জ। ১৭ মে থেকে ২৫ জুনের মধ্যে এ জেলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিলেট জেলায় মারা গেছেন ১৮ জন। নেত্রকোনা ও জামালপুরে ৯, ময়মনসিংহে ৫, শেরপুরে ৪, কুড়িগ্রামে ৩ ও লালমনিরহাটে একজন প্রাণ হারিয়েছেন। বন্যার শুরু থেকে এ পর্যন্ত বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। সাপের দংশনের শিকার হয়েছেন ছয়জন। মৃত্যু হয়েছে দুজনের। পানিতে ডুবে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৬ জন। সিলেটে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে ফিরেও অনেকে এখনো আশ্রয়হীন। বানের পানিতে ভেসে গেছে অনেকের বাড়িঘর। কারও কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হয়ে মিশে গেছে মাটির সঙ্গে। বাড়ি ফিরে বিধ্বস্ত ঘর দেখে দিশাহারা অসহায় মানুষ। অনেকে আবারও ফিরে যাচ্ছেন আশ্রয় কেন্দ্রে, কেউবা ঠাঁই নিচ্ছেন পাকা সড়কে। তাদের হাহাকার ‘আশ্রয় কেন্দ্রে ছিলাম, মানুষ খাবার দিত। বাড়িতে এসে দেখছি আমার সব শেষ হয়ে গেছে।’ সুনামগঞ্জে আশ্রয় শিবির থেকে বাড়ি ফেরা মানুষ চরম অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ধীরগতিতে কমছে হাওরের পানি। উঁচু এলাকায় স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও নিম্নাঞ্চলে এখনো রয়েছে বন্যার পানি। সেখানকার মানুষ এখনো অবস্থান করছেন আশ্রয় কেন্দ্রে। প্রশাসনের তথ্যমতে, এখনো লক্ষাধিক মানুষ রয়েছেন আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে। তাদের মাঝে ত্রাণ ও রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। সরকারি সহায়তার পাশাপাশি দেশের নানা প্রান্ত থেকে ত্রাণ, ওষুধ ও মানবিক সহায়তা নিয়ে আসছেন অনেকে। বন্যাদুর্গত এলাকার নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড ভেঙে গেছে বন্যার করাল গ্রাসে। সিলেট বিভাগের বাইরে ময়মনসিংহ জেলার হাজার হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। রংপুর জেলার বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোর অবস্থানও অভিন্ন।  বন্যা উপদ্রুত এলাকায় বাড়িঘর পুনর্নির্মাণে সহায়তার পাশাপাশি কৃষি পুনর্বাসনে দ্রুত প্রস্তুতি নেওয়া দরকার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর