বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

বাড়ছে করোনার থাবা

স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই

করোনাভাইরাসের থাবা আশঙ্কার চেয়েও দ্রুত হারে বাড়ছে। প্রাণহানির ক্ষেত্রে গত দুই বছরের তুলনায় পিছিয়ে থাকলেও সংক্রমণে পিছিয়ে নেই। রোগ শনাক্তকরণে আক্রান্তের বড় অংশের আগ্রহের অভাব থাকলেও যাদের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে তার মধ্যে ২ হাজারের বেশি জনের দেহে করোনারভাইরাস পাওয়া গেছে। এ প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়েছে- সাম্প্রতিককালে দেশে কভিড আক্রান্তের হার দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে ও জনসাধারণের মধ্যে মাস্ক পরিধান এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে যথেষ্ট শৈথিল্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে- ১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করতে সব গণমাধ্যমে অনুরোধ জানাতে হবে। ২. সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে হবে। ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ নীতি প্রয়োগ, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, জনসমাগম যথাসম্ভব বর্জন করতে হবে। ৩. ধর্মীয় প্রার্থনার স্থান মসজিদ, মন্দির, গির্জা, ইত্যাদিতে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ৪. জ্বর সর্দি কাশি বা কভিডের উপসর্গ দেখা দিলে কভিড টেস্টের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ৫. দোকান, শপিং মল, বাজার, ক্রেতা-বিক্রেতা, হোটেল-রেস্টুরেন্টে সবার বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে। অন্যথায় তাকে আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। ৬. স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন ও মাস্ক পরিধানের বিষয়ে সব মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় ইমামরা সংশ্লিষ্টদের সচেতন করবেন। করোনাভাইরাসের আগ্রাসন ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া নির্দেশনাগুলো সময়োপযোগী এবং তাৎপর্যের দাবিদার। আমরাও বিশ্বাস করি, স্বাস্থ্যবিধি-সংক্রান্ত নির্দেশনাগুলো মেনে চললে করোনার থাবা অনেকাংশে ঠেকানো সম্ভব হবে। বিশেষত উপাসনালয়ের ধর্মীয় সমাবেশে কেউ যাতে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ না করতে পারে সে বিষয়ে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডার কমিটিগুলোকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর