শুক্রবার, ১ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা
ফল

আম

আম

গ্রীষ্মমন্ডলীয় আবহাওয়ার কারণে আমাদের দেশে এ সময়ে আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, তরমুজ, লেবু, পেঁপে, আনারস, পেয়ারা, টেরখই, জামরুল, বেল, কদবেল, ডেউয়া, ডেমফল পাওয়া যায়। আমাদের দেশে নানা জাতের স্বাদ ও রসালো আম পাওয়া যায়। গোপালভোগ, মালভোগ, ল্যাংরা, সুন্দরী, ভবানী, চম্পা, দাউনিয়া, সুরম্পা, বৈশাখী, পাঞ্চাছন্দ, সরঙ্গম, সিঁদুরকোটা, বউভোলানী, হিমসাগর, কাজলি, কলাবতী, বিবিপছন্দ ইত্যাদি নামীয় ও দামীয় আম ফলের মাসের নাম সার্থক করতে পরিপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ক্যান্সার, লিউকোমিয়া প্রতিরোধে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ ঔষধি গুণে গুণান্বিত নানা জাত ও পদের আমে ভিটামিন এ, বি ও সি আমাদের প্রাণশক্তির অফুরন্ত দায়বদ্ধতা সৃষ্টি করে। দেশে উৎপাদিত আমের ২০-২৫ শতাংশ ব্যবহার হয় জুস উৎপাদন খাতে। এ ছাড়া সীমিত আকারে আচার, চাটনি, চকোলেটসহ মুখরোচক খাদ্য তৈরিতে ফলের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। আম আমাদের দাঁত, নখ, চুল মজবুত রাখে, ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। এদিকে কেবল স্বাদ নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও কাঁচা আম বেশ উপকারী। বিভিন্ন কঠিন রোগ থেকে মুক্তি দেয় কাঁচা আম। প্রখর রোদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীর রক্ষা করে কাঁচা আম। সানস্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় এটি। দেহের সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রনের ঘাটতি পূরণেও কাজ করে কাঁচা আম। কাঁচা আমে রয়েছে ভিটামিন সি, ই ও একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এ উপাদানগুলো শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে বাড়ে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা। অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম ইত্যাদি সমস্যা কমাতে সাহায্য করে কাঁচা আম।              

আফতাব চৌধুরী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর