শনিবার, ২ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

পদ্মা সেতুর প্রাপ্তি

সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা

জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মা সেতুর সফল সমাপ্তিতে বেশ কিছু প্রাপ্তি যোগ হয়েছে। এ সেতু জাতিকে মতপার্থক্য ভুলে একতাবদ্ধ হওয়ার অনুপ্রেরণা জোগাবে। নিজেদের আত্মসম্মানবোধে সচেতন করে তুলবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে আমাদের মর্যাদা বাড়বে। উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনা ও চুক্তি সম্পাদনে স্বকীয়তা বজায় রাখতে উদ্বুদ্ধ করবে। যে কোনো মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়নে আমাদের ব্যবস্থাগত ত্রুটি অভিজ্ঞতার ঘাটতি পূরণ করবে। এশিয়ান হাইওয়ে বাস্তবায়নে মিসিং লিঙ্ক ছিল পদ্মা সেতু। সেই মিসিং লিঙ্ক পূরণ করে সরাসরি সড়ক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে কাজ করবে। একটা অবকাঠামোর এত বেশি ফরওয়ার্ড লিঙ্কেজ সত্যি বিস্ময়কর। এশিয়ান হাইওয়ে ও ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে বাস্তবায়ন যখন হবে পদ্মা সেতু একমাত্র লিঙ্ক হবে। এ সেতু হাইওয়ে ও রেল লিঙ্কের ক্ষেত্রে পূর্ব দিকে ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া থেকে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত সংযুক্ত হবে। অন্যদিকে ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান, তুরস্ক, ইউরোপের সঙ্গেও সংযুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা থাকবে না। এ যোগাযোগব্যবস্থা দেশে আমদানি-রপ্তানি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। নেপাল-ভুটানের সঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়বে। দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বড় বাধা ছিল প্রমত্তা পদ্মা। কৃষক-ব্যবসায়ী কেউ নিজ নিজ পণ্য বাজারজাতকরণ বা সঠিক মূল্য পেত না। পদ্মা সেতু সে অবস্থার আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসবে। বাংলাদেশ বিশ্বে নতুন উচ্চতায় নিজেদের স্থান করে নিয়েছে এ সেতুর মাধ্যমে। আগে যারা অবহেলার চোখে দেখত এখন তারা দেখবে না। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাব আমরা। জাতীয় সংসদে পদ্মা সেতু সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর মূল্যায়ন শুধু তাৎপর্যপূর্ণই নয়, আশা জাগানিয়াও। বাংলাদেশের জন্য অযুত সম্ভাবনার দ্বার সৃষ্টি করেছে এ সেতু। জাতীয় উদ্দীপনার এ সেতুকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর