বুধবার, ৬ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

অব্যবস্থাপনার ইতি ঘটাতে হবে

বর্তমান সরকারের আমলে দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দুই লেনের বদলে চার লেনে পরিণত হয়। আশা করা হয়েছিল, চার লেনে রূপান্তরিত হওয়ার পর মহাসড়কটি যানজটের অভিশাপ থেকে মুক্ত হবে। রাজধানীর সঙ্গে দেশের প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র বন্দরনগর চট্টগ্রামের যাতায়াত নির্বিঘ্ন হয়ে ওঠার সুবাদে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনবে। কিন্তু গত কয়েক বছরে দেশের অর্থনীতির পরিসর বিশেষত আমদানি-রপ্তানি কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় চার লেনের মহাসড়কও প্রতিনিয়ত যানজটের সম্মুখীন হচ্ছে। মহাসড়কসংলগ্ন নয়টি বাজার ও বিভিন্ন এলাকায় শুধু ডানে-বাঁয়ের সংযোগ সড়কে যাওয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিনই দেখা দিচ্ছে যানজট। মহাসড়কে ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালানো, হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতার অভাব, যেখানে-সেখানে বাস থামানোর কারণে সৃষ্টি হচ্ছে অচলাবস্থা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের নির্বিকার ভূমিকায় প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্থনীতির নাভি খ্যাত এ সড়কের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত না নিলে আগামীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াতে ঘোরতর সংকট সৃষ্টি হবে। ঢাকা শহরের যানজট পেরিয়ে মহাসড়কে উঠলে প্রথমেই ভোগান্তিতে পড়তে হয় নারায়ণগঞ্জের মদনপুরে। চট্টগ্রামের দিক থেকে আসা গাড়িগুলো ডান দিকে টার্ন নিয়ে রূপগঞ্জ-নরসিংদী সড়কে ওঠার সময় দুই পাশে ভয়াবহ যানজট তৈরি হয়। এ যানজট পেরিয়ে কিছুদূর গেলে দ্বিতীয় সংকটে পড়তে হয় সোনারগাঁয়। মেঘনা ব্রিজ পর্যন্ত এ যানজট অব্যাহত থাকে। দাউদকান্দি ব্রিজ পার হওয়ার পর কুমিল্লা পর্যন্ত মাধাইয়া, নিমসার, চান্দিনা বাজারে ফের আটকে পড়তে হয় দুই পাশের সব যানবাহনকে। কোনোমতে দীর্ঘ সময় নিয়ে কুমিল্লা পার হওয়ার পর চৌদ্দগ্রামে একাধিক বাজার ঘিরে যানজট মোকাবিলা করতে হয়। ফেনী পার হওয়ার পর আবারও যানজট ঘাড়ে চেপে বসে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজট নিরসনে অব্যবস্থাপনার অবসান ঘটাতে হবে সবার আগে। মহাসড়কে ইজিবাইকসহ অটোরিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। প্রয়োজনে কিছু এলাকায় ফ্লাইওভার ও বাইপাস সড়ক নির্মাণ করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর