বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

বিমান রক্ষণাবেক্ষণ

দূর হোক স্বেচ্ছাচারিতা

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস জাতীয় পতাকাবাহী রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা। কিন্তু শুরু থেকে এটি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যা ইচ্ছা তাই করার অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। দুনিয়ার প্রায় সব বিমান সংস্থা লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারলেও বিমান চলছে উল্টোপথে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবহেলার কারণে ২১টি উড়োজাহাজের মধ্যে প্রতি মাসেই অচল থাকে একাধিক উড়োজাহাজ। বিমানের হ্যাঙ্গারে এক বিমানের সঙ্গে আরেক বিমানের সংঘর্ষ নিয়মিত ঘটনা হতে চলেছে। রবিবার হ্যাঙ্গারে এক বিমানের সঙ্গে আরেক বিমানের সংঘর্ষে দুই বিমানের ডানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগে থেকেই হ্যাঙ্গারে একটি ৭৩৭ উড়োজাহাজ ছিল। ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি ভিতরে প্রবেশ করানোর সময় ৭৩৭ উড়োজাহাজের ডানায় আঘাত লাগে। এতে ৭৮৭ উড়োজাহাজের ডান পাশের ডানা ও ৭৩৭ উড়োজাহাজের বাঁ পাশের ডানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর আগে ১০ এপ্রিল একইভাবে বিমানের দুটি উড়োজাহাজের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। ওই সময় একটি বোয়িং ৭৭৭ ও একটি বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে ঘটনায় ১১ মে বিমানের মুখ্য প্রকৌশলীসহ পাঁচজনকে বরখাস্ত করা হয়। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায় বিমান। হ্যাঙ্গারে বিমান নেওয়ার সময় তিনজন টোম্যান থাকেন। আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী দুর্ঘটনা এড়াতে উড়োজাহাজের দুই ডানায় দুজন টোম্যান থাকেন, পেছনের অংশে থাকেন একজন। কিন্তু বিমানে তা না মানায় বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। বিমানের ব্যবস্থাপনাগত অদক্ষতার কারণে এবং আগের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি না হওয়ায় বারবার একই ঘটনা ঘটছে। বিমানের অব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষকে কঠোর হতে হবে। বিমানের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতায় নিজেদের নিমজ্জিত করেছেন তাদের জাতীয় পতাকাধারী প্রতিষ্ঠান থেকে হটাতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর