শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

অযুত সম্ভাবনার নাম সুনীল অর্থনীতি

সাজ্জাদুল হাসান

অযুত সম্ভাবনার নাম সুনীল অর্থনীতি

২০১২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোয় ‘টেকসই উন্নয়ন’ শীর্ষক জাতিসংঘ সম্মেলনে প্রথম ‘ব্লু ইকোনমি’ প্রসঙ্গটি উত্থাপিত হয়। সাগরের জলরাশি এবং এর তলদেশের বিশাল সম্পদ কাজে লাগানোই হচ্ছে ব্লু ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতি। কেবল সমুদ্রের নিচের অর্থনৈতিক কার্যক্রম নয়, সমুদ্রনির্ভর যে-কোনো অর্থনৈতিক কর্মকান্ডই সুনীল অর্থনীতির আওতায় পড়ে। ব্লু ইকোনমির অন্যতম অনুষঙ্গ মাছ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ আহরণ।

বঙ্গোপসাগরের সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনা বিবেচনায় রেখে সমুদ্রে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে সমুদ্র বিজয় অভিযাত্রার সূচনা করেন। দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে স্বাধীনতার মাত্র তিন বছরের মাথায় তিনি বাংলাদেশ সংবিধানের ১৪৩ নম্বর অনুচ্ছেদের (২) নম্বর ধারা অনুযায়ী সমুদ্রসীমাসংক্রান্ত Territorial Waters and Maritime Zones Act, 1974 প্রণয়ন করেন, যা গেজেট হিসেবে প্রকাশ পায় ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৪ সালে। পরে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কর্তৃক United Nations Convention on the Law of the Sea (UNCLOS, 1982) গৃহীত হয়। আন্তর্জাতিক আইন ও সমুদ্রসীমা নির্ধারণসংক্রান্ত মামলার রায়গুলোর যথাযথ প্রতিফলন ঘটিয়ে আরও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালের আইনটি প্রয়োজনীয় সংশোধনপূর্বক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট কর্তৃক প্রস্তুতকৃত Territorial Waters and Maritime Zones (Amendment) Bill-2021 বিলটি ৭ ডিসেম্বর, ২০২১-এ প্রণয়ন করা হয়।

১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু সরকার কর্তৃক সমুদ্রবিষয়ক আইন পাস হওয়ার পরপরই মিয়ানমারের সঙ্গে সেন্ট মার্টিনে ১২ মাইল ‘টেরিটোরিয়াল সি’ ঠিক করে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ১৯৭৪ সালে প্রণীত আইনটিই আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। এর প্রতিফলন দেখা যায় আট বছর পর ১৯৮২ সাল থেকে যা চূড়ান্তভাবে জাতিসংঘ সমুদ্র আইন কনভেনশন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৮২ সালের ইউনাইটেড নেশন্স কনভেনশন অন দ্য ল অব দ্য সি আইনটি অনুসমর্থন করে। ফলে পরবর্তী ১০ বছরের মধ্যে ৩৫০ মাইলব্যাপী মহীসোপানের দাবি জাতিসংঘে উত্থাপনের দায় সৃষ্টি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯ সালে দীর্ঘ ৩৮ বছর ঝুলে থাকা বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা চূড়ান্তভাবে নির্ধারণে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার সময়োপযোগী এক সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং সফলভাবে সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক প্রজ্ঞায় ২০১২ ও ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি হয়। ফলে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের সমপরিমাণ টেরিটোরিয়াল সমুদ্র এলাকায় বাংলাদেশের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব, অধিকার ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় যা মূল ভূখন্ডের প্রায় ৮০.৫১ শতাংশ।

বিশ্বব্যাপী সুনীল অর্থনীতির চিত্র লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বছরব্যাপী সমুদ্র ঘিরে ৩ থেকে ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের কর্মকান্ড সংঘটিত হচ্ছে। বিশ্বের মানুষের ১৫ শতাংশ আমিষের জোগান দিচ্ছে সামুদ্রিক মাছ, প্রাণী ও উদ্ভিদ। সমুদ্রতলের বিভিন্ন গ্যাস ও তেল ক্ষেত্র থেকে পৃথিবীর ৩০ শতাংশ গ্যাস ও জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জ্ঞান বৃদ্ধির মাধ্যমে সমুদ্রনির্ভর ওষুধশিল্পও গড়ে তোলা সম্ভব। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৫০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা হবে প্রায় ৯০০ কোটি। এ বিপুল জনগোষ্ঠীর খাবার জোগান দিতে বিশ্ববাসীকে সমুদ্রের মুখাপেক্ষী হতে হবে। তাই বিগত বছরগুলোয় সব আন্তর্জাতিক সম্মেলন যেমন : অর্থনৈতিক সহায়তা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি), জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি), বিশ্বব্যাংক, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) প্রভৃতিতে সুনীল অর্থনীতি আলোচনার কেন্দ্রে ছিল।

সমুদ্র অর্থনীতি জোরদারে বাংলাদেশও বিভিন্ন ধরনের সমন্বিত নীতি, পরিকল্পনাসহ সেমিনার, ফেস্টিভ্যাল ইত্যাদি আয়োজন করে চলেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর সমুদ্রসম্পদ আহরণে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কর্মপন্থা, পদক্ষেপ গ্রহণ এবং কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সরকার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৭ সালে ‘ব্লু ইকোনমি সেল’ গঠন করে। এ ছাড়া সমুদ্রসম্পদ সুরক্ষায় সরকার ২০১৯ সালে মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট করেছে। এরই মধ্যে সরকার সামুদ্রিক অর্থনীতি বিকাশের জন্য ২৬টি সম্ভাবনাময় কার্যক্রম চিহ্নিত করেছে। সুনীল অর্থনীতি খাতের উন্নয়ন বেগবান করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক, বাণিজ্যিক ও পরিবেশগত প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণপূর্বক নিম্নোক্ত সুনির্দিষ্ট নয়টি খাত চিহ্নিত করে সেসব খাতের বিকাশ ও বাস্তবায়নের জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে যথাযথ কার্যাবলি/প্রকল্প গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ /দফতরকে রূপরেখা প্রদান করা হয়েছে :

১. সামুদ্রিক মৎস্য ব্যবস্থাপনা;

২. সামুদ্রিক মৎস্য চাষ উন্নয়ন;

৩. বাণিজ্যিক নৌপরিবহনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন;

৪. সমুদ্রভ্রমণ পর্যটনের বিকাশ সাধন;

৫. অফশোর জ্বালানি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও সুনীল বায়োটেকনোলজি গবেষণা ও উন্নয়ন;

৬. স্থিতিশীল জীবিকার জন্য ম্যানগ্রোভের বাস্তুসংস্থানগত সেবাগুলো নিশ্চিতকরণ;

৭. জাহাজ নির্মাণ ও রিসাইক্লিং শিল্প সম্প্রসারণ;

৮. সামুদ্রিক দূষণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ;

৯. মেরিন স্পেশিয়াল প্ল্যানিং বাস্তবায়ন।

বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সমুদ্রসম্পদের অবদান মাত্র ৯.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অথবা ৬ শতাংশ। দেশের স্থলভাগের প্রায় সমপরিমাণ সমুদ্রসীমা এখন মূল্যবান সম্পদের ভান্ডার। ভারত ও মিয়ানমার থেকে অর্জিত সমুদ্রসীমাকে পেট্রোবাংলা খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানে মোট ২৬টি ব্লকে ভাগ করে। এর মধ্যে গভীর সমুদ্রে ১৫ ও অগভীরে ১১টি ব্লক রয়েছে। ইজারা দিয়ে এসব ব্লক থেকে প্রায় ৪০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া সম্ভব মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বঙ্গোপসাগরের বিদ্যমান বিপুল পরিমাণ আগাছা প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরি করা সম্ভব। এসব আগাছার মধ্যে স্পিরুলিনা অত্যধিক মূল্যবান। জানা যায়, প্রায় দুই বছর ধরে গবেষণা করে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় বিপুল পরিমাণ গ্যাস হাইড্রেট ছাড়াও ২২০ প্রজাতির সি-উইড, ৩৪৭ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ৪৯৮ প্রজাতির ঝিনুক, ৫২ প্রজাতির চিংড়ি, ৫ প্রজাতির লবস্টার, ৬ প্রজাতির কাঁকড়া ও ৬১ প্রজাতির সি-গ্রাস চিহ্নিত করা হয়েছে। বাংলাদেশের কিছু প্রজাতির সি-উইডে প্রচুর প্রোটিন আছে যা ফিশ ফিড হিসেবে আমদানি করা ফিশ অয়েলের বিকল্প হতে পারে। আবার কিছু প্রজাতি অ্যানিমল ফিডের মান বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হতে পারে। খনিজ সম্পদের মধ্যে রয়েছে যেমন : তেল, গ্যাস, চুনাপাথর প্রভৃতি। এ ছাড়া ১৭ ধরনের মূল্যবান খনিজ বালু রয়েছে যার মধ্যে মোনাজাইট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া সমুদ্রের তলদেশে সিমেন্ট বানানোর উপযোগী প্রচুর ক্লে রয়েছে।

সুনীল অর্থনীতি উন্নয়নের পথে বাংলাদেশের মূল চ্যালেঞ্জগুলো হলো : দক্ষ জনশক্তির অভাব, প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাব, সম্পদের পরিমাণ ও মূল্য সম্পর্কে সঠিক তথ্যের অভাব, মেরিন রিসোর্সভিত্তিক গবেষণা না হওয়া, সুনীল অর্থনীতি সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক যোগাযোগের অভাব এবং গবেষণা কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য গবেষণা জাহাজ না থাকা।

২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গঠনে সমুদ্রে পাওয়া ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটারের যথাযথ ব্যবহারে সামুদ্রিক অর্থনীতি বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে সুনীল অর্থনীতির সুযোগগুলো কাজে লাগানোর জন্য দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার ওপর বিশেষ নজর দিচ্ছে। সমুদ্র গবেষণা ও মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য সম্প্রতি সরকার বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং একটি মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেছে। এ ছাড়া হাতে নেওয়া হয়েছে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কাজ। সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে।

এ সত্ত্বেও ব্লু ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতির সুদূরপ্রসারী অগ্রযাত্রায় সরকারকে নিতে হবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। নির্ভরযোগ্য তথ্য-উপাত্ত ও সঠিক পরিসংখ্যান করে বিনিয়োগকারীদের এ খাতে কীভাবে আকৃষ্ট করা যায় এবং কীভাবে এ খাতের উন্নয়ন করা যায়, সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে। প্রযুক্তিনির্ভরতা ও দক্ষ জনশক্তি নিয়োগ সম্পর্কে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা জরুরি। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমানায় যেসব অনাবিষ্কৃত সমুদ্রসম্পদ আছে সেগুলোর বিজ্ঞানভিত্তিক ও পরিবেশবান্ধব সংগ্রহ এবং টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। গ্যাসসহ অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ উত্তোলন, মৎস্যসম্পদ আহরণ, বন্দরের সুবিধা সম্প্রসারণ ও পর্যটনের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা-মাফিক কার্যক্রম পরিচালনা করা গেলে ২০৩০ সাল নাগাদ প্রতি বছর আড়াই লাখ কোটি ডলার আয় করা সম্ভব। একই সঙ্গে সুনীল অর্থনীতিতে এগিয়ে থাকা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন ও পরামর্শ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে, যা আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া অপার সম্ভাবনাময় এ খাতকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হলে সমুদ্রের তলদেশে কী কী সম্পদ রয়েছে, সেগুলো আহরণ করতে হলে কোন ধরনের প্রযুক্তি ও বিশেষজ্ঞ জনবল প্রয়োজন তা পরিকল্পনামাফিক নির্ধারণ করে সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় জলসীমায় অধিকার, শান্তি-শৃঙ্খলা বা নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে আন্তর্জাতিক সীমালঙ্ঘন আইনের ধারাগুলোর সর্বোচ্চ বাস্তবায়ন করতে হবে। দারিদ্র্যবিমোচন, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলাসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সমুদ্রসম্পদের অপরিসীম ভূমিকা রাখার পাশাপাশি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে সুনীল অর্থনীতি। এর ফলে বাড়বে রাজস্ব, জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। আর এভাবেই ভিশন-২০৪১ তথা উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে পথযাত্রা প্রণয়ন করেছেন তা অর্জন সম্ভব।

লেখক : সাবেক সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও চেয়ারম্যান, পরিচালনা পর্ষদ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।

সর্বশেষ খবর