শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

ছাত্রী নির্যাতন

প্রতিরোধে শাস্তি দৃশ্যমান হতে হবে

সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রী ধর্ষণচেষ্টা বা যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বারবার খবরের শিরোনাম হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ পেলেও নির্বিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসে পাঁচ তরুণের হাতে এক ছাত্রী যৌন নিপীড়ন ও মারধরের শিকার হয়েছেন। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী প্রক্টরের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। প্রক্টর বলেছেন, জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। অভিযুক্তদের দুজনকে শনাক্ত করা হলেও পুলিশ তাদের নাম-পরিচয় গোপন রেখেছে। অভিযোগ অনুসারে পাঁচ তরুণ ওই ছাত্রীকে বেঁধে ফেলে তার গায়ের কাপড় খুলে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা এক বন্ধু প্রতিবাদ করলে তাকেও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনা কেন্দ্র করে ক্লাস বর্জন করে দফায় দফায় আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। পাঁচ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও প্রশাসন কাউকে শনাক্ত করতে না পারায় ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, ঘটনার পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও বিচার করতে পারেনি প্রশাসন। শুধু এ ঘটনা নয়, এর আগেও ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি ঘটেছে ক্যাম্পাসে। তবে কোনো বিচার হয়নি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এমন নিকৃষ্ট ঘটনার বিচার চার ঘণ্টার মধ্যে হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তা পাঁচ দিনেও হয়নি। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অভিভাবক বলে জানেন, কিন্তু প্রশাসন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ সেল থাকলেও তার কার্যক্রম অনেকটা স্থবিরই বলা চলে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি যেভাবেই হোক তাদের নিশ্চিত করতে হবে। যৌন হয়রানি প্রতিরোধে শাস্তি দৃশ্যমান করতে হবে। কেউ নির্যাতনের প্রতিবাদ করলে তারও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর