বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা
বিচিত্রতা

তৃষ্ণার্ত এ শতাব্দী

বিশ্বে এখন পানির তৃষ্ণায় কাতর প্রায় ২০০ কোটি মানুষ। পৃথিবীতে পানিসম্পদ সীমিত। যদিও এ জরুরি বিষয়টির প্রতি আমরা খুব কম গুরুত্ব দিয়ে থাকি। তাই আমরা পানির যথেষ্ট ব্যবহার করি। বরং বলা ভালো, পানির অপব্যবহার করি। এভাবে নির্বিচারে পানি ব্যবহার করতে থাকলে একদিন পানি শেষ হয়ে যাবে। আমরা হয়তো ভাবছি, পৃথিবীর উপরিভাগের দুই-তৃতীয়াংশে পানি যখন আছে তখন এত ভাবনা কীসের? হ্যাঁ, ভাবনা আছে। কারণ এ পানির বেশির ভাগ লবণাক্ত। লবণাক্ত নয় এমন পানি মোট পানির মাত্র ২.৫ ভাগ। এর দুই-তৃতীয়াংশ আবার আটকে আছে বরফের আকারে। কোথাও পাহাড়ে, কোথাও গ্লেসিয়ারে। তারপর যা থাকল তার ২০ শতাংশ আবার অত্যন্ত দুর্গম এলাকায়। যেখানে ইচ্ছা করলে চটজলদি যাওয়া যাবে না। আর বাকি পানি যেভাবে আসে তার ওপর মানুষের নিয়ন্ত্রণ নেই। যেমন বৃষ্টি, বন্যা, প্লাবন ইত্যাদি। সুতরাং দেখা যাচ্ছে প্রকৃতপক্ষে মানুষের প্রয়োজনে আসে বিশ্বের মোট পানিসম্পদের ০.০৮ শতাংশের কম। ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি অনুযায়ী ৫০টি দেশের ২০০ বিজ্ঞানী এক সমীক্ষা চালিয়েছেন। তাতে দেখা গেছে, একবিংশ শতাব্দীতে মানুষের সামনে সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক ও উদ্বেগজনক সমস্যা হিসেবে হাজির হবে পানির সংকট ও গ্লোবাল ওয়ার্মিং। কৃষি ক্ষেত্রে মজুদ পানির ৭০ শতাংশ এখন ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু ২০২০ সাল নাগাদ এর পরিমাণ আরও ১৭ শতাংশ বাড়াতে হবে, যদি আমরা বিশ্বের সব মানুষের মুখে ভাত বা রুটি তুলে দিতে চাই। সুতরাং তখন পানিসম্পদের ওপর চাপ বাড়বে।

আফতাব চৌধুরী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর