শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

জনশুমারি ২০২২

দ্রুত নগরায়ণের পথে বাংলাদেশ

স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটির কম। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জনে। এর মধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ আর নারী ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন। দেশে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯। ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জনশুমারিতে এ সংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৪০ লাখ। অর্থাৎ গত এক দশকে দেশে জনসংখ্যা বেড়েছে ২ কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ৯২০ জন। এবারই প্রথম দেশে নারীর সংখ্যা পুরুষের চেয়ে বেশি। বুধবার পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা, ২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম শুমারিতে দেশের জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১৫ লাখ। এরপর ১৯৮১ সালের জনশুমারিতে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জনে। ১৯৯১ সালে দেশে মোট জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ কোটি ৬৩ লাখে। ২০০১ সালে চতুর্থ আদমশুমারি ও গৃহগণনায় জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১২ কোটি ২৪ লাখে। ২০১১ সালে পঞ্চম জনশুমারিতে দেশের জনসংখ্যা চলতি বছরে বেড়ে হয়েছে ১৪ কোটি ৪০ লাখ। জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬। এর মধ্যে সর্বোচ্চ জনসংখ্যা ঢাকা বিভাগে ৪ কোটি ৪২ লাখ ১৫ হাজার ১০৭। সর্বনিম্ন বরিশাল বিভাগে ৯১ লাখ ১০২। সর্বাধিক ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন যেখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩৯ হাজার ৩৫৩ জনের বসবাস। সর্বনিম্ন ঘনবসতি এলাকা রংপুর সিটি যেখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩ হাজার ৪৪৪ জনের বসবাস। প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের শহরাঞ্চলে এখন ৫ কোটি মানুষের বসবাস। অর্থাৎ দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ শহরাঞ্চলের বাসিন্দা। দেশে যে দ্রুত নগরায়ণ ঘটছে এটি তারই প্রমাণ। নগরগুলোর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে বসবাস করছে ১ কোটি ২ লাখ ৭৮ হাজার ৮৮২ জন। জনশুমারি সরকারের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করে। সর্বশেষ জনশুমারিও এ ক্ষেত্রে অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর