রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

বাংলাদেশে বিনিয়োগ

দুর্নীতি ও আমলাতান্ত্রিকতা প্রধান সমস্যা

বাংলাদেশকে এখন দুনিয়াজুড়েই বিবেচনা করা হয় উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে। অথচ অযুত সম্ভাবনার হাতছানি সত্ত্বেও আমলাতান্ত্রিক অদক্ষতা ও দীর্ঘসূত্রতার কারণে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে প্রকাশিত বাংলাদেশ কান্ট্রি কমার্শিয়াল গাইড ২০২২-এ বলা হয়েছে, রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদাবাজি হয় এ দেশটিতে। বাংলাদেশে ব্যবসা করতে গেলে একটি কোম্পানিকে কোন ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে তার উল্লেখ রয়েছে ওই কমার্শিয়াল গাইডে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য আগ্রহের বিভিন্ন খাতে তাৎপর্যপূর্ণ সম্ভাবনাগুলোও ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ব্যবসার অন্যান্য প্রতিবন্ধকতার মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা পরিবহন অবরোধ। এর ফলে পণ্য সরবরাহ অবরুদ্ধ আর উৎপাদনশীলতা হ্রাস পেতে পারে। এ ধরনের অবরোধের সময় যানবাহন ও অন্যান্য সম্পত্তি ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগের ঝুঁঁকি এবং লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। গাইডলাইনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে জমি সংক্রান্ত বিরোধ একটি সাধারণ ঘটনা। বেশ কিছু মার্কিন কোম্পানি এবং নাগরিক প্রতারণামূলক জমি বিক্রির বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি একটি গুরুতর প্রতিবন্ধকতা। ঘুষ, আত্মসাৎ এবং অন্যান্য ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আইন থাকলেও যথাযথ প্রয়োগ নেই। বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করার ক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক দক্ষতাকে দায়ী করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার স্বচ্ছতার অভাবে প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের হতাশ করতে পারে। বাংলাদেশে বিদ্যমান আইনের অধীনে মুনাফা ও অর্থ বাইরে প্রেরণের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে এ ক্ষেত্রে জটিলতার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে ওই গাইডে। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রতার অবসান ঘটাতে হবে।  এ বিষয়ে সংশয়ের কোনো অবকাশ নেই। বিনিয়োগবান্ধব আইন প্রণয়ন শুধু নয়, বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর