সোমবার, ১ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

কাঁপাকাঁপি নয়-চিত্তকে ভয়শূন্য করুন

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)

কাঁপাকাঁপি নয়-চিত্তকে ভয়শূন্য করুন

একটা গল্প দিয়ে আজকের লেখাটি শুরু করতে চাই। গল্পটি অনেক পুরনো, অনেকে হয়তো ভিন্নভাবে শুনে থাকতে পারেন। গল্পের সত্য-অসত্য সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। গল্প-গল্পই। তবে তৈরি গল্পের মাধ্যমেও সমাজ, রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক অঙ্গনের অনেক সত্যের প্রকাশ ঘটে। গল্পটা ছোট করে বলি। একজন চাকরিপ্রার্থী ইন্টারভিউ দিতে গেছে। চাকরির জন্য এটাই তার প্রথম ইন্টারভিউ। প্রস্তুতি পর্বে, ইতিপূর্বে ইন্টারভিউ দিয়েছে এমন অনেকের কাছ থেকে সে শুনেছে, ইন্টারভিউ বোর্ডে পাঁচ-ছয়জন উচ্চপদের অফিসার থাকেন, তারা সবাই অনেক জ্ঞানের অধিকারী ও রাশভারী। সঠিক প্রার্থী যাচাইয়ের জন্য সবাইকে তারা প্রশ্নবাণে জর্জরিত এবং তুলাধুনা করেন। এসব শুনে আমার গল্পের প্রার্থীর মনে এক ধরনের ভীতি সৃষ্টি হয়। কিন্তু চাকরিটা তার খুবই প্রয়োজন। তাই ভীতি ফোবিয়া থাকলেও যথাসময়ে নির্দিষ্ট অফিসে হাজির হয়েছে। একই পদের জন্য আরও অনেক প্রার্থীর উপস্থিতি দেখে সে অনেকটা ঘাবড়িয়ে গেল। তার আগে যারা ইন্টারভিউর জন্য ভিতরে প্রবেশ করেছে। বের হওয়ার পর তাদের কথা শুনে ও মুখের চেহারা দেখে তার ভীতির মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। না জানি কী হয়, সে বোধহয় আজ এক মহাবিপদের সম্মুখীন। ভীতির তাড়নায় বুক ধড়ফড় শুরু হয়ে যায়। এর মধ্যেই ভিতরে প্রবেশের ডাক এলো। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফাইলটা নিয়ে প্রবেশ করতেই ছয়জন রাশভারী মানুষ তার দিকে একসঙ্গে তাকিয়ে একজন নাম জিজ্ঞাসা করতেই কাঁপনের ধাক্কায় ফাইলটি হাত থেকে পড়ে যায়। বোর্ডের সভাপতির জিজ্ঞাসা, কি হে বাপু কাঁপছ কেন? কাঁপাকাঁপির দেখছেন কী স্যার, প্রশ্ন করলেই বুঝবেন কাঁপাকাঁপি কাকে বলে। সোজা সরল উত্তর প্রার্থীর। এই প্রার্থীর মতোই আমাদের নির্বাচন কমিশনের জন্য কঠিন ইন্টারভিউ এবং অগ্নিপরীক্ষা সামনে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ দুয়েকজন কমিশনারের সাম্প্রতিক কিছু কথাবার্তা ও বক্তব্য শুনে দেখে মনে হচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের প্রায় দেড় বছর বাকি থাকতে তাদের যেরকম ঘর্মাক্ত অবস্থা, তাতে শঙ্কা হয়, আসল সময় এলে কাঁপাকাঁপিতে হাত থেকে না সবকিছু পড়ে যায়। এখনো কিছুই শুরু হয়নি। বলা যায় কেবল নাম-ধাম-পরিচয় পর্ব চলছে। এখনই অস্থির হয়ে গেলে কেমনে হবে, দিন তো পড়ে আছে। নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্য সাধনে সব ক্ষমতাই তাদের রয়েছে। সংবিধান এবং তৎসংশ্লিষ্ট আইনই তাদের একমাত্র প্রভু, অন্য কেউ বা কিছু নয়। তবে বিগত দিনে দেখা গেছে, বিশেষজ্ঞগণ সংবিধানের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে একমাত্র তো নয়ই বরং যোজন যোজন দূরে অবস্থান করেন। তাতে সাধারণ মানুষ তো বটেই যারা সাংবিধানিক দায়িত্বে থাকেন তারাও বিভ্রান্তিতে পড়ে যান। সাংবিধানিক পদে বসে কেউ যদি বিভ্রান্তিতে পড়ে যান তাহলে সেটা রাষ্ট্রের জন্য মহাদুর্যোগ ডেকে আনতে পারে। সংবিধানের রক্ষক ও চূড়ান্ত ব্যাখ্যা দেওয়ার অধিকার কেবল সর্বোচ্চ আদালতের রয়েছে। তারাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক। সুতরাং সাংবিধানিক পদে যারা আছেন তারা যেন রাজনৈতিক পক্ষের সাংবিধানিক ব্যাখ্যায় বিভ্রান্ত না হন। তাদের দাবি-দাওয়া হুমকি ও আপত্তিতে অস্থির হয়ে না পড়েন। অমুক দল নির্বাচনে না এলে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ প্রমাণিত হবে, এমন প্রচারণার ফাঁদে যেন তারা না পড়েন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ দুয়েকজন কমিশনার সাম্প্রতিক সময়ে কিছু কথা বলেছেন ও মন্তব্য করেছেন, যা তাদের কার্য সাধনের জন্য প্রয়োজন ছিল না। দুয়েকটি উদাহরণ দিই। গত ২৫ জুলাই বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ভোটার না এলে বুঝতে হবে গণতন্ত্রের অপমৃত্যু হয়েছে। ২৭ জুলাই বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পৃষ্ঠায় খবর, তিনি বলেছেন, ২০১৮ সালের মতো ভোট হবে না। এর আগে একজন কমিশনার বলেছিলেন, এবার দিনের ভোট দিনেই হবে, রাতে হবে না। এই কথাগুলো অত্যন্ত বিতর্কিত, বিভ্রান্তিমূলক ও রাজনৈতিক বক্তব্য। ২০১৮ সালের নির্বাচন কেমন হয়েছে তা নিয়ে বড় দুই রাজনৈতিক পক্ষের বিপরীতমুখী অবস্থান, দেশের জনগণও বিভাজিত। সুতরাং ওই কথাগুলো বলে উনারা কী বোঝাতে চেয়েছেন সেটা কেবল তারাই জানেন। ২০১৮ সালের নির্বাচন ভালো, নাকি মন্দ হয়েছে তার কোনো গবেষণালব্ধ ও অকাট্য জরিপ দ্বারা প্রমাণিত তথ্য-উপাত্ত নেই। সংবিধান ও আইনবহির্ভূত হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ নেই। অনেকে বলেন, মানুষ কী বলে। একটু আগেই বলেছি এ বিষয়ে মানুষও বিভাজিত। কোন মতের পক্ষে মানুষ বেশি বা কম তা বোঝাও কঠিন। তবে একটা গ্রহণযোগ্য দালিলিক তথ্যের উল্লেখ করি। ১৯৯১, ১৯৯৬ সালের জুন, ২০০১ ও ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত এই চারটি নির্বাচনে ভোট প্রাপ্তির গড় হিসাবে বিএনপি থেকে অনেক এগিয়ে আছে আওয়ামী লীগ। এটা জনসমর্থনের একটা মাপকাঠি। এ সংক্রান্ত তথ্য এখন সহজলভ্য, যে কেউ দেখতে পারেন। সুতরাং একটি রাজনৈতিক পক্ষের সুরে সুর মিলিয়ে কথা বললে নির্বাচন কমিশন বিতর্কের মধ্যে পড়ে যাবে। বিএনপি সরকার মানে না এবং নির্বাচন কমিশনও মানে না। এটা তাদের রাজনৈতিক অবস্থান ও কৌশল। বিএনপি না এলে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না এবং তাহলে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হয়ে যাবে-এই ভয় ও ভীতি ফোবিয়া যদি নির্বাচন কমিশনকে পেয়ে বসে তাহলে রাজনৈতিক সংকট চরম আকার ধারণ করবে। নির্বাচন কমিশনকে ভয় দেখানোই এখন বিএনপির প্রধান কাজ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল রাষ্ট্রের প্রশাসনে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। রাজনীতিতে সংযুক্ত না থাকলেও এত বছর ধরে বাংলাদেশের রাজনীতির রসায়ন দেখেছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২৩ বছর ধরে সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত অফুরান্ত প্রেরণার উৎস গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে রাজনীতির এক বড় পক্ষ সম্মান দেখায় না। তারা জাতির পিতাকে মানে না এবং আনুষ্ঠানিক সম্মান দেখায় না। দেশের শতকরা প্রায় ৭৫ ভাগ মানুষের ঐক্যবদ্ধ সমর্থনে সত্তরের নির্বাচনের মাধ্যমে জনম্যান্ডেটপ্রাপ্ত হয়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাহাত্তরের যে অনন্য সংবিধান তৈরি হয়েছে, সেটিকেও বিএনপি মানে না। আর কোনো দিন শতকরা ৭৫ ভাগ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে একপক্ষকে জনম্যান্ডেট দিবে না। সে রকম সময় আর আসবে না। এত বিশাল জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে অর্জিত সব রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক মূল্যবোধকে বিএনপি ছুড়ে ফেলে দেয়। এরপরও বিএনপি দেশের একটি বড় রাজনৈতিক পক্ষ হিসেবে টিকে আছে। এটাই সত্য কথা। এই সত্যটি বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য নির্মম ট্র্যাজেডি। সুতরাং বাংলাদেশের বড় দুই রাজনৈতিক পক্ষের সমঝোতা ও মিলন প্রায় অসম্ভব। এসব জেনেই কাজী হাবিবুল আউয়াল সদিচ্ছায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতো জাতীয় গুরুদায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। সুতরাং এখন রাজনৈতিক পক্ষের হুমকি-ধমকিতে ভয় পেয়ে গেলে দেশের সর্বনাশ হবে। সিইসি বলেছেন, ভোটার না এলে বুঝতে হবে গণতন্ত্রের অপমৃত্যু হচ্ছে। এ কথাটি ‘সঠিক, না ভুল’ সে বিতর্কে না গিয়ে বলা যায় এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়। বাংলাদেশের রাজনীতিকে ঠিক করার দায়িত্ব ও ম্যান্ডেট নির্বাচন কমিশনের নেই। সেটা তারা পারবেনও না। শতকরা কতভাগ ভোট প্রদত্ত হলে গণতন্ত্র রক্ষা পাবে, তার কোনো সুনির্দিষ্ট মানদন্ড নেই। আগ বাড়িয়ে এসব কথা বললে পরবর্তীতে বিপদ হতে পারে। অনেক দেশে আছে কমপক্ষে শতকরা ৫০ ভাগ ভোট না পড়লে আবার ভোট হবে। আমাদের সংবিধানে এ ব্যাপারে কিছু বলা নেই। ভোটারদের কেন্দ্রে আনার সামর্থ্য নির্বাচন কমিশনের নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে সেরেফ রাজনৈতিক বক্তব্য না দিয়ে ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য। নির্বাচন কমিশন কী করবে এবং রাজনৈতিক দলগুলো থেকে তারা কী ধরনের সহযোগিতা চান ইত্যাদি বিষয়ে বক্তব্য দিলে বরং সেটা অর্থবহ হতো। ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে আসে তার জন্য প্রেরণামূলক প্রচারণা নির্বাচন কমিশন চালাতে পারে। তবে নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের সময় কোনো ধর্ম, বর্ণ ও শ্রেণির মানুষ যাতে নিরাপত্তা শঙ্কায় না পড়ে তার জন্য রাজনৈতিক দলের করণীয় সম্পর্কে বক্তব্য দিলে সেটা দেশের মানুষ জানতে বুঝতে পারত। নির্বাচনী প্রচারণায় ধর্মের ব্যবহার ও টাকার খেলা কঠোর হস্তে দমন করা হবে, এই বার্তাটি নির্বাচন কমিশন থেকে রাজনৈতিক দলের কাছে যাওয়া উচিত। এত কথা বলছেন, কিন্তু এ ধরনের কথা শোনা যাচ্ছে না। তলোয়ার আর রাইফেল তত্ত্ব দিয়ে সিইসি নিজেই দুঃখ প্রকাশ করেছেন, অনুতপ্ত হয়েছেন। সিইসি যেমনটি বলেছেন, আমিও তাই মনে করি; তিনি এটা মন থেকে বলেননি, কথার কথা। কিন্তু এত বড় রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে যখন এ ধরনের কথা বলেন তখন মনে হয় তিনি প্রচ- অস্থির এবং অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছেন, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। নিজের অজান্তে মুখ থেকে এরকম বেফাঁস কথা বেরিয়ে যাচ্ছে। এটা মোটেই কাম্য নয়। নির্বাচন নিয়ে পক্ষসমূহের ঝগড়াঝাটি তো এখনো কিছুই শুরু হয়নি। অনেক অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটতে পারে। তার জন্য নির্বাচন কমিশনের কন্টিজেন্সি বা আপৎকালীন পরিকল্পনা থাকতে হবে, যেটা প্রকাশ করা যাবে না। এখন কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেলে ভুল বার্তা যাবে। যাদের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তারা নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশনসহ সবকিছুকে বিতর্কিত করতে চাইবে। হুমকি-ধমকি দিয়ে সংবিধান ও আইনি প্রদত্ত ম্যান্ডেটের বাইরে নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে। নির্বাচন কমিশন যেন তাদের ভিকটিম না হয়। ২৩ বছর ধরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ও একাত্তরে ৩০ লাখ মানুষের জীবনের বিনিময়ে যে বাংলাদেশ পেয়েছি, সেটি কি রক্ষা পাবে, নাকি অন্য কিছু ঘটে যাবে, তার বহু কিছুই নির্বাচন কমিশনের নৈতিক সাহসের ওপর নির্ভর করছে। অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ একটা আশাজাগানিয়া জায়গায় এসেছে। গত ২৫ জুলাই বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ সব পত্রিকার খবরে দেখলাম, বিশ্বখ্যাত গণমাধ্যম নিউজউইক বড় প্রতিবেদন ছেপেছে এই মর্মে যে, দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ অসাধারণ পারফরমেন্স দেখাতে সক্ষম হয়েছে। নিউজউইক উল্লেখ করেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত এক দশকে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের মধ্যে অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল দেশের কাতারে উঠেছে বাংলাদেশ। অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে বিশাল পরিবর্তন ঘটেছে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আগামী জাতীয় নির্বাচন সঠিক ও শান্তিপূর্ণ হওয়া একান্ত প্রয়োজন। নির্বাচন কেউ যেন ব্যাহত করতে না পারে তার জন্য নির্বাচন কমিশনকে এখন থেকেই কঠোর ও ফোর্সফুল বার্তা দিতে হবে। সবার জন্য মনে রাখা আবশ্যক, তথাকথিত ১/১১-এর কুশীলবরা এখনো মঞ্চের উইংসের আড়ালে দাঁড়িয়ে আছে। তাই নির্বাচন কমিশনের সামনে যত বড় ইন্টারভিউ আর পরীক্ষা আসুক না কেন, কাঁপাকাঁপি না করে স্থির মনে, চিত্তকে সর্বদা ভয়শূন্য রাখা একান্ত প্রয়োজন। ঊনসত্তর, সত্তর, একাত্তরের কথা মনে করুন; কী কঠিন পরীক্ষায় বাঙালি জাতি উত্তীর্ণ হয়েছে।

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

[email protected]

সর্বশেষ খবর