সোমবার, ১ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

শিশুদের জন্য ভ্যাকসিন

সুরক্ষায় অবদান রাখবে

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভ্যাকসিন বা টিকাই এ যাবৎ সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্র বলে বিবেচিত হয়েছে। এ অস্ত্রের বদৌলতে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের থাবা সন্তোষজনকভাবে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ভ্যাকসিন গ্রহণের পরও কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি এমনটি নয়। তবে ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে আক্রান্তদের মৃত্যুর আশঙ্কা প্রায় শূন্যে নেমে যায়। বাংলাদেশে বিপুল জনগোষ্ঠীকে ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় ডোজের ভ্যাকসিন নিয়েছেন বিপুল সংখ্যক নাগরিক। এখন চলছে শিশু শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রস্ততি। ইতোমধ্যে পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের করোনা টিকার প্রথম চালান দেশে পৌঁছেছে। শনিবার দুপুরে করোনা টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির একজন সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, পাঁচ থেকে ১১ বছরের শিশুদের টিকা প্রয়োগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। শিগগিরই টিকাদানের স্থান ও সময় জানানো হবে। প্রাথমিকভাবে পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে এ টিকা কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি সূত্রে বলা হয়েছে, প্রথম দফায় ১৫ লাখ ২ হাজার ৪০০ ডোজ টিকা দেশে এসেছে। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের মতো পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদেরও স্কুলগুলোতে কেন্দ্র করে ফাইজারের এ বিশেষ টিকা দেওয়া হবে। চলতি মাসে এ টিকাদান শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হলে করোনাভাইরাসের থাবা কার্যকরভাবে ঠেকিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। পাশাপাশি করোনার আগ্রাসন থেকেও সুরক্ষা মিলবে। শিশুদের করোনার ভ্যাকসিন দানে ব্যাপক প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। শিশুর সুরক্ষায় করোনা ভ্যাকসিন ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে আমরা এমন আশাই করতে চাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর