মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

দুর্বিষহ অবস্থার শিকার হচ্ছে নগরবাসী

রাজধানীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চলছে চরম বিশৃঙ্খলা। সন্ধ্যার পর বাসাবাড়ি ও অন্যান্য স্থান থেকে ময়লা সংগ্রহের নির্দেশনা থাকলেও সে কাজটি চলছে দিনের বেলায়। ভ্যানচালকরা বর্জ্য সংগ্রহ করে এসটিএসের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে ধারেকাছের এলাকায়। এসটিএস অকার্যকর থাকলে বাসাবাড়ি ও অন্যান্য স্থান থেকে সংগৃহীত বর্জ্য কনটেইনারে ফেলে রাখা হয়। ফলে এর পাশ দিয়ে দুর্গন্ধে যাওয়া-আসা করা দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায় পথচারীদের জন্য। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এ যাচ্ছেতাই অবস্থা চলছে মাসের পর মাস। কর্তাব্যক্তিদের বিষয়টি অজানা নয়। এদিকে নজর রাখা কর্তব্যের মধ্যে পড়লেও সম্ভবত মাস শেষে বেতন ও পকেটপূর্তির অন্যান্য বিষয়ে উৎসাহ থাকলেও দায়িত্ব পালনে রয়েছে যারপরনাই কার্পণ্য। বনশ্রীর মেরাদিয়া বাজারের পাশেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এসটিএস। এখানে ৩ নম্বর ওয়ার্ড অর্থাৎ মেরাদিয়া বাজারসংলগ্ন বনশ্রী ও দক্ষিণ বনশ্রীর বাসাবাড়ির বর্জ্য ফেলা হয়। ওই এলাকায় সকাল ৯টায় শুরু করে রাত পর্যন্ত বাসাবাড়ি, শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ময়লা সংগ্রহ করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা। তারা এ এলাকার প্রতিটি বাসাবাড়ি থেকে নিয়মিত ময়লা নেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভ্যানচালকরা দু-তিন দিন পরপর বাসা থেকে ময়লা নেন। এতে বাসার ময়লা পচে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। বর্জ্য সংগ্রহকারীদের আবার কিছু বলা যায় না, কিছু বললে ময়লা নেবেন না বলে হুমকি দেন। আর বাসাবাড়ি থেকে যেসব গাড়িতে চালকরা ময়লা সংগ্রহ করেন সেগুলো দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত এসটিএসের সামনের সড়কে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। সন্ধ্যা ৬টার পর এসটিএসের সামনে কনটেইনারে ময়লা ফেলা হয়। এসটিএসটি দীর্ঘদিন যাবৎ নষ্ট থাকায় সেখানে বর্জ্য ফেলা হয় না। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন চিত্র নয় বরং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সাধারণ চিত্র। দিনের বেলায় রাস্তায় ঝাড়ু দেওয়ায় পথচারীরা দুর্বিষহ অবস্থার শিকার হন। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের নজরে আসবে আমরা সে আশাই করতে চাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর