শিরোনাম
শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

সিলেট মেডিকেলে অচলাবস্থা

হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনুন

ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা অপ্রত্যাশিতই শুধু নয়, নিন্দনীয়। রবিবার দুপুরে এক রোগীর দুই স্বজনের সঙ্গে একজন ইন্টার্ন চিকিৎসকের বাগ্বিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে ওই দুই স্বজনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মীমাংসা হয়। এর জেরে পরদিন সোমবার রাত ৮টার দিকে ওই ইন্টার্ন চিকিৎসক ও ওসমানী মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের একজন ছাত্রের ওপর কয়েকজন হামলা চালায়। আহতাবস্থায় তাদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে সোমবার রাত ১০টার দিকে ধর্মঘটের ডাক দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তাঁরা জরুরি, হৃদরোগ ও বহির্বিভাগ ছাড়া হাসপাতালের সব বিভাগে সেবা প্রদান বন্ধ করে দেন। কলেজের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে। তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরাও। আন্দোলনকারীরা মেডিকেল কলেজে স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মেডিকেল প্রশাসনের মামলা করাসহ পাঁচ দাবি জানান। ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলে রাত ৩টার দিকে তাঁরা ধর্মঘট ও অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন। তবে একই সঙ্গে হামলাকারীদের গ্রেফতারের জন্য মঙ্গলবার বেলা ২টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ে হামলাকারীরা গ্রেফতার না হওয়ায় ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা বুধবারও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। দেশের মেডিকেল কলেজগুলোয় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ওপর বহিরাগতদের হামলা প্রায়ই ঘটছে। সে প্রেক্ষাপটে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেওয়ারই কথা। সিলেটে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের ওপর যারা হামলা চালিয়েছে তারা দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অচলাবস্থা সৃষ্টির জন্য দায়ী। সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

সর্বশেষ খবর