রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা
স্বাস্থ্য

ডিম

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় বিশেষ করে প্রাতরাশে সবাই ডিম খেতে পছন্দ করে।

সময়স্বল্পতার জন্য ভাতের সঙ্গে তরকারির বিকল্প হিসেবে ডিম ভাজা করেও অনেককে খেতে দেখা হয়। প্রশ্নটা হলো, প্রতিদিন বা নিয়মিত ডিম খাওয়া যাবে কি যাবে না? এ নিয়ে ডাক্তার, রোগী এমনকি সুস্থ মানুষের মধ্যেও বিভ্রান্তি বা দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল এবং এখনো আছে। বিশেষ করে যাদের বয়স একটু বেশি, যারা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক বা হৃদরোগে আক্রান্ত এমন রোগী অথবা যাদের রক্তে কোলেস্টেরল বা অন্যান্য চর্বির পরিমাণ বেশি তাদের ডিম খেতে নিষেধ বা সম্পূর্ণ বর্জন করতে বলা হয়। অনেকেই আবার ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে শুধু সাদা অংশটুকু খেতে বলেন। এর কারণ একটাই তা হলো, ডিম খেলে কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। এত দিনের ধারণাটা আসলে সত্যি নয়। ডিম খেলে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা ততটা বৃদ্ধি পায় না। একজন পূর্ণবয়সী সুস্থ মানুষ দৈনিক গড়ে ৩০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত কোলেস্টেরল গ্রহণ করতে পারেন। আর একটি ডিমে রয়েছে মাত্র ২০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল। তাই বিশেষজ্ঞরা এমনকি আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন এখন আর তাদের খাদ্যের গাইডলাইনে ডিম খাওয়াকে নিরুৎসাহ করছেন না। যে কোনো ব্যক্তি ডিমের সাদা অংশ খেলে কোনো সমস্যা তো হবেই না, এমনকি কুসুমসহ সম্পূর্ণ ডিম খেলেও উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে না। একটি বড় গবেষণায় প্রতীয়মান হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে ৫-৬টি ডিম খেলেও হৃদরোগ, স্ট্রোক বা অন্যান্য ধরনের হৃদয়রোগের কোনো ঝুঁকি নেই। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে বলা হয়, দিনে একটি ডিম হার্টের জন্য ক্ষতিকর নয়।

আফতাব চৌধুরী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর