সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

কমিশন গঠন করুন

নেপথ্যের হোতাদের ধরতে হবে

বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের  পৈশাচিক হত্যাকান্ডের দৃশ্যমান অপরাধীদের শুধু নয় এর কুশীলবদেরও খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ জন্য কমিশন গঠনের প্রস্তুতি শুরু করেছে আইন মন্ত্রণালয়। আইনমন্ত্রী বলেছেন, কমিশনের রূপরেখা ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে। তিনি প্রয়োজনীয় সংশোধন শেষে সেটি চূড়ান্ত করবেন। কমিশন গঠনের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের তৎপরতা চালানো হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পিছনে  ছিল সুগভীর ষড়যন্ত্র। দেশি-বিদেশি কালো হাত ইতিহাসের মহানায়ককে জনগণের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়ার জন্য কলকাঠি নাড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত দৃশ্যমান অপরাধীদের একাংশকে ধরা সম্ভব হলেও আরেক অংশ এখনো বিদেশে পালিয়ে আছে। এদের মধ্যে দুজনের খোঁজ পাওয়া গেছে এবং তারা যেসব দেশে আছেন, সেখান থেকে আইনগত পদ্ধতিতে ওইসব দেশের সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আনার চেষ্টা চলছে। বঙ্গবন্ধু হত্যায় দৃশ্যত জড়িত ছিল সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত কর্মরত কয়েকজন মেজর মর্যাদার অফিসার। সেনাবাহিনী প্রধান অধস্তন কর্মকর্তাদের খুনিচক্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিলেও কেউ তার কথা শোনেনি। ৩ নভেম্বর খুনিচক্রের বিরুদ্ধে পাল্টা অভ্যুত্থান হলেও ১৫ আগস্টে তারা খুনিদের কেন বাধা দেয়নি বড় মাপে তা একটি প্রশ্ন। ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের অপনায়করা ফ্রিডম পার্টি নামে একটি সন্ত্রাসী রাজনৈতিক সংগঠনের জন্ম দেয়। এ সংগঠনের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে দলের পক্ষ থেকে বেতন দেওয়া হতো। এ অর্থ কোথা থেকে এসেছে তা একটি প্রশ্ন এবং সেটি উদঘাটনের দাবি রাখে। কমিশন গঠন হলে কালো চাদরে ঢাকা ১৫ আগস্টের অনেক অনুদঘাটিত বিষয় পাদপ্রদীপের নিচে আনা সম্ভব হবে। জানা যাবে বঙ্গবন্ধু হত্যার হোতাদের আসল পরিচয় কী? কী ছিল তাদের উদ্দেশ্য। এর দেশি-বিদেশি খলনায়কদের চিহ্নিত করাও সম্ভব হবে। হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ এবং জাতির পিতার প্রতি কৃতজ্ঞ জাতির দায় পূরণে কমিশন যথাযথ ভূমিকা রাখবে আমরা এমনটিই আশা করতে চাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর