মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

ডলার সংকট

ব্যাংকের স্বচ্ছ ভূমিকা প্রত্যাশিত

দেশের ব্যাংকগুলো ডলারপ্রতি ১ টাকার বেশি মুনাফা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনেক আগেই তাদের এমন নির্দেশনা দিয়েছিল। কিন্তু ডলার সংকটের অজুহাতে সে নির্দেশনা এত দিন মানা হচ্ছিল না। রবিবার বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের সভায় ব্যাংকগুলো কথা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের আগের দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ডলারের ঊর্ধ্বগতিতে লাগাম পরানোর চেষ্টা করা হবে। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রপ্তানি ও প্রবাসী আয় দিয়ে আমদানির দায় শোধ করা যাচ্ছে না। এতে যে ঘাটতি হয়েছে সেই পরিমাণ ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে বিক্রি করা হয়েছে। এরপর সংকট হওয়ার কথা নয়। কিন্তু বাস্তবে ডলার সংকট দানা বেঁধে উঠেছে। সে সংকটের সুযোগে ব্যাংকগুলো দাম বাড়িয়ে অস্বাভাবিক মুনাফা করছে। সভায় ব্যাংকগুলোকে বুঝেশুনে আমদানি ঋণপত্র খুলতে পরামর্শ দেওয়া হয়। সভায় বলা হয়, আমদানি ঋণপত্র খোলা হ্রাস পেয়েছে। প্রবাসী আয়ও বাড়ছে। ফলে সংকট কেটে যাবে। যে রপ্তানি হচ্ছে তার আয় দ্রুত নগদায়ন করতে বলা হয় ব্যাংকগুলোকে। ডলারের বাজারে যে টানাপোড়েন চলছে তা থামাতে আয়োজিত ওই পরামর্শমূলক সভায় ব্যাংকগুলোর মধ্যে ডলার কেনাবেচা শুরু করতে বলা হয়েছে। এটা হলে এক-দুই মাসের মধ্যে ডলারের বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে। রবিবার ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয় আনতে ১১৪ টাকা পর্যন্ত দাম প্রস্তাব করে। আর রপ্তানি বিল নগদায়ন করে গড়ে ১০৫ টাকা দরে। ফলে আমদানিকারকদের প্রতি ডলারের জন্য গুনতে হয় ১০৫-১০৭ টাকা। তবে খোলাবাজারে ডলারের দাম কমে ১১৪-১১৫ টাকায় কেনাবেচা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের সঙ্গে দেশের অন্য ব্যাংকগুলোর এমডিদের বৈঠকে ব্যাংকগুলোর পক্ষে তাদের সংগঠন এবিসি ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। পরামর্শ সভায় ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করা হলে ডলারের অধিমূল্য রোধ সম্ভব হবে। কমবে আমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির যে প্রবণতা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে তা সামাল দেওয়াও সম্ভব হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর