রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

যৌন হয়রানি

শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে

আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, ইদানীং গণপরিবহনে নারীর প্রতি নিগ্রহ ও হয়রানি বেড়েছে। কয়েক দিন আগে নরসিংদী রেলস্টেশনে এক তরুণীকে হেনস্তা করে কতিপয় দুর্বৃত্ত। সে ঘটনায় প্রতিবাদ হয়েছে। এ রকম প্রতিটি ঘটনার প্রতিবাদ হওয়া উচিত। যৌন হয়রানির হটস্পট এখন গণপরিবহন। জনসমাগমের ভিড়ে ৮৭ শতাংশ নারী যৌন হয়রানির শিকার হন। এ ছাড়া ৪২ ভাগ নারী উত্ত্যক্তের শিকার হন। সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) পৃষ্ঠপোষকতায় ‘জনপরিসরে নারী নিরাপত্তা’ ক্যাম্পেইনের জরিপে উঠে এসেছে এমন তথ্য। জরিপে আরও দেখা যায়, বাস-লঞ্চ-ট্রেনের টার্মিনালসহ গণপরিবহনে ৩৬ শতাংশ নারী নিয়মিত যৌন হয়রানির শিকার। উত্তরদাতার ৫৭ শতাংশ গণপরিবহনকে সবচেয়ে অনিরাপদ মনে করেন। গণপরিবহন ছাড়া রাস্তা, শপিং মল এবং অনলাইন প্ল্যাটফরমগুলোয় নারীদের হয়রানি করা হয় বলে জরিপের ফলাফলে পাওয়া গেছে। ইউএনডিপি বাংলাদেশ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও সিআরআই যৌথভাবে এ জরিপটি পরিচালনা করে। বৃহস্পতিবার তরুণদের সঙ্গে নীতিনির্ধারক পর্যায়ের এক আলোচনায় জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। শুধু যে বাসে নারীদের হয়রানি করা হচ্ছে তা নয়, মার্কেটে, পথেঘাটে, কর্মস্থলে নারীরা যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। তবে ইদানীং দেখা যাচ্ছে নারীরা সাহস করে এসব ঘটনার প্রতিবাদ শুরু করেছেন। এটা একটা আশার দিক। অভিযুক্তদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়ন বেড়েই চলেছে। ক্যাম্পাসের ভিতরে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু এ নিয়ে কোনো ভূমিকাই রাখতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল। যৌন নিপীড়নের বিচারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে। নিপীড়কদের শনাক্ত করে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তাদের কোনোভাবেই ছাড় নয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর