সোমবার, ২৯ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি

চা শিল্পে সুস্থ পরিবেশ সৃষ্টি করবে

চা শ্রমিকদের মজুরি ১২০ থেকে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মজুরির পাশাপাশি শ্রমিকদের বোনাস, বার্ষিক ঝুঁকিভাতা, উৎসব ছুটি ও ভাতা এবং অসুস্থতাজনিত ছুটিও আনুপাতিকহারে বাড়ানো হবে। গত শনিবার বিকালে গণভবনে চা শ্রমিকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চা বাগান মালিকপক্ষের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের রবিবার থেকে কাজে ফেরার আহ্বান জানান। শ্রমিকদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সমাধান মেনে নেওয়া হয়েছে। গতকাল থেকেই কাজে নেমেছেন তারা। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেছেন, শ্রমিকদের ভবিষ্য তহবিলে মালিক পক্ষ যে টাকা দেয় সেটিও আনুপাতিক হারে বাড়বে। রেশনের মাধ্যমে মালিক পক্ষ চা শ্রমিকদের যে খাদ্যপণ্য দেয় সেগুলো খুব কম দামে দেওয়া হয়। এর ব্যয়ভার মালিক পক্ষই বহন করবে। শ্রমিকদের রেশন, চিকিৎসা-শিক্ষা ভাতাও দেওয়া হয়। এতে একজন চা শ্রমিকের জন্য দৈনিক সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা মালিক পক্ষের খরচ হয়। স্মর্তব্য, দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে ৯ আগস্ট থেকে আন্দোলনে নামেন দেশের ১৬৬টি চা বাগানের দেড় লাখের বেশি শ্রমিক। চার দিন পর্যন্ত দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন তারা। এরপর ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেন শ্রমিকরা। ১৯ আগস্ট রাতে মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করার বিষয়ে একটি চুক্তিও হয়। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যান শ্রমিকরা। এর মধ্যে কয়েক দফা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হলেও সুরাহা হয়নি। আন্দোলনে থাকা চা শ্রমিকদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ভিডিও বার্তায় দাবি জানানো হয়। অবশেষে চা বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানান সরকারপ্রধান। চা শ্রমিকদের আন্দোলন সারা দেশের মানুষের সহানুভূতি অর্জন করে। চা শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের সুযোগ বৃদ্ধিতে চা শিল্পে সুস্থ পরিবেশ গড়ে উঠবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ। স্মর্তব্য, নিম্নআয়ের পেশাজীবী হিসেবে চা শ্রমিকদের কল্যাণে সরকার চলতি বছর ৩০ কোটি টাকা ব্যয় করবে। যা একটি ইতিবাচক দিক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর