সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফর : দুই দেশ যা অর্জন করতে পারে

এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন

প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফর : দুই দেশ যা অর্জন করতে পারে

সংস্কৃতিগত অভিন্নতায় আবেগকে প্রাধান্য দেওয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক স্বার্থে পারস্পরিক সমঝোতায় উপনীত হতে হয়। প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্পর্কের এমন দৃষ্টান্ত পৃথিবীর বহু অঞ্চলে রয়েছেও। তেমন মিত্রতা তখন সীমান্তের জানালাকেও অতিক্রম করতে চায়। উত্তীর্ণ প্রেম উঁকি দিয়ে বলে, আমরা দুটি দেশ আলাদা হলেও একে অপরের স্বার্থরক্ষায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভালোবাসা ভর করে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার যে ৫১ বছরের নৈতিক সম্পর্ক, তা দুটি দেশের পররাষ্ট্রনীতির আওতায় থেকে চুক্তিনির্ভর স্বার্থপরতাকে নিশ্চিত করেনি। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত তেমন উদাহরণ দেখাতে সক্ষম হয়েছিল। অন্যদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা তিন মেয়াদের আওয়ামী লীগের সরকার শাসন ক্ষমতায় না থাকলে ভারতের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে আঘাত আসার সুযোগ সৃষ্টি হতো। কারণ, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধ শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে যে কথিত জাতীয়তাবাদী শক্তি চারদলীয় জোট করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছিল, তখন তারা ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতে শুরু করে। কাজেই ভারত ও বাংলাদেশের যে পুরনো সম্পর্ক তা থিতু হয় না, যখন দেশটির জাতির পিতার যোগ্য উত্তরসূরি একজন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ পরিচালিত হয় না। প্রতিবেশী ভারতকে নির্ভার রাখার অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে তাই সর্বাগ্রে শেখ হাসিনার নামটিকে ধারণ করার অঘোষিত বাস্তবতা রয়েছে। এদিকে বৈশ্বিক সংকটে নাজেহাল এ পৃথিবী। অতি অবশ্যই স্বাধীন রাষ্ট্রগুলো। অতিমারি কভিড-১৯ পৃথিবী নামক গ্রহকে স্বস্তিতে রাখেনি। যার প্রভাবে অর্থনৈতিকভাবে অতি সচ্ছল দেশগুলোও বিপদে পড়েছে। উপরন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন রণ সমাচার বৈশ্বিক জায়গা থেকে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়েই ধরা দিয়েছে। ঠিক এমন এক প্রেক্ষাপটের ওপর দাঁড়িয়ে  রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা দিল্লি যাচ্ছেন। তিনি আজ ৫ সেপ্টেম্বর ভারতে পা রাখবেন। স্বভাবতই বাংলাদেশ ও ভারতের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক আরও একবার ঝালিয়ে নেওয়ার একটা মাহেন্দ্রক্ষণ তৈরি হয়েছে।

অতি সম্প্রতি ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং একটি যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধনকালে বলেন, বাংলাদেশের চেতনা ও আদর্শিক অবস্থানকে শ্রদ্ধা করতে হবে। তিনি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সুসম্পর্কের পাশাপাশি আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রকেও গুরুত্ব দিয়ে বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে দিল্লির সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ সরকার ধর্মীয় হিংসার উন্মাদনা ও কট্টরপন্থিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ যেভাবে উন্নতির দিকেও ধাবিত হচ্ছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমরা উচ্ছ্বসিত।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘সাগর’ নীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে রাজনাথ সিং ফলত একটি দীর্ঘমেয়াদি নিরপত্তা ইস্যু দাঁড় করাতে চান। যেখানে তিনি বাংলাদেশকে অতি গুরুত্ব দিয়ে অপরাপর প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গেও সম্পর্ক জোরদারে থাকতে চান। খুব সম্ভবত আসন্ন হাসিনা-মোদি বৈঠকে ডিফেন্স ডক্ট্রিন নিয়ে প্রাসঙ্গিক যুক্তিতে আলাপচারিতা হবে। ভারত চাইবে বৈশ্বিক পর্যায়ে পরাক্রমশালীদের রুখতে একটি প্রতিরক্ষা নীতি। অন্যদিকে উভয়েই চাইবে, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা প্রতিরোধে বাংলাদেশে মৌলবাদী রাজনীতির অনুপ্রবেশকে পাত্তা দেওয়া যাবে না। একই সঙ্গে ভারতের রাজনৈতিক শৃঙ্খলার ধারাবাহিকতা রুখতে বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায় এমন কোনো রাজনৈতিক শক্তিকে সমর্থন দেওয়া যাবে না, যারা ভারতের সঙ্গে আপাতভাবে অভিনয়শৈলী দেখিয়ে স্বার্থ সংরক্ষণ করবে বলে মত রাখবে- কিন্তু তাদের লক্ষ্য পূর্বেকার মত ভিন্ন হবে। বলা বাহুল্য, সংসদীয় গণতন্ত্রের রেওয়াজে আগামী বছরের শেষভাগে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিকও রয়েছে।

বিশ্বরাজনীতির নতুন নতুন সমীকরণ হচ্ছে, হতে থাকবে। বাংলাদেশ ও ভারত শুধু ভৌগোলিক পর্যায়ে সম্পর্কেই আবদ্ধ নয়। দুটি দেশের সামাজিক নিরাপত্তা, অর্থনীতি, শিল্প, সাহিত্য, রাজনীতি, যোগাযোগব্যবস্থাসহ নানা ক্ষেত্রে পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল। ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের বহুমাত্রিক সম্পর্কের পরিণতি তখনই ব্যঞ্জনায় সপে প্রকটিত হয়, যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্ব দেওয়া দল আওয়ামী লীগ ও ভারতের রাজনৈতিক গবেষণা উইংয়ের মধ্যকার আত্মিক বন্ধন শপথ নিয়েছিল, আমরা একে অপরের বন্ধু হয়েই থাকব।

পাকিস্তানি হানাদারদের গণহত্যার মুখে বাংলাদেশের এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া এবং সামরিক সহায়তা প্রদানসহ ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি অর্জনে যে ভূমিকা ১৯৭১ সালে রেখেছিলেন তা মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জন ত্বরান্বিত করেছিল। বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশ থেকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভারতীয় মিত্র বাহিনীকে ফেরত নিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ইন্দিরা গান্ধী যে উদারতা দেখিয়েছিলেন তা ইতিহাস সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার যে সহায়তা করেছিল তা বাংলার মানুষ কখনো ভুলবে না। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে বিস্তর ফারাক রয়েছে। ভারতে সরকার পরিবর্তন হলেও তাদের আন্তর্জাতিক নীতির পরিবর্তন হয় না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্য কোনো দল সরকারি দল হয়ে পড়লে তাদের মধ্যকার ভারতবিদ্বেষী মনোভাবই শুধু নয়, ভারতের বিপক্ষে সেই সরকার তৎপর হয়। সংগত কারণে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি প্রশ্নে সরকার পরিবর্তন হলে আর এক লক্ষ্যে বা সমমনা সিদ্ধান্তে থাকে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় যৌথ নদী কমিশন বৈঠকের বৃত্তান্ত নিয়ে অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন নিয়ে আলাপ হবে বলে আশা করা যায়। তিস্তা চুক্তির সুফল বাংলাদেশ পেতে চায়। এবার কুশিয়ারা পানি বণ্টন নিয়ে নতুন একটি চুক্তি হতে পারে বলে অনুমিত হয়। আলোচনায় আছে সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় ও ঋণ নেওয়ার দিকটিও। মেরিটাইম সিকিউরিটির জন্য ভারত থেকে রাডার ক্রয় নিয়েও কথা হবে বলে চাউর আছে। উপ-আঞ্চলিক এনার্জি হাব গঠন নিয়ে আলোচনা এগোতে পারে। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটানকে নিয়ে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, এর নেতৃত্বে রয়েছে ভারত। বাংলাদেশ নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনতে চায়। একই সঙ্গে এ অঞ্চলে জ্বালানি নিরাপত্তা কানেকটিভিটি বিষয়টি নিয়ে যৌথভাবে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনার এ সফরে  সমন্বিত বাণিজ্য চুক্তি প্রাধান্য পাবে। সেপা (কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট) চুক্তিটি হলে ভারত ও বাংলাদেশের পণ্য দুই দেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধা পাবে। বাংলাদেশ এরই মধ্যে এ চুক্তি অনুমোদন করেছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ অ্যান্টি ডাম্পিং নীতি প্রণয়নে কাজ করছে। অন্যদিকে ২০১৫ সালের জুনে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত চুক্তির মাধ্যমে ভারতের ১১১টি ছিটমহল এবং বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল বিনিময় হয়। এতে নাগরিকত্বহীন ৫০ হাজারের বেশি মানুষ তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত নাগরিকত্ব লাভ করে। দুই দেশ তাদের সীমান্তবর্তী চোরাচালান সমস্যার সমাধানে এবং সৌহার্দ্য বৃদ্ধির জন্য সীমান্ত হাটের ব্যবস্থা করে। ২০২২ সালের এপ্রিলের হিসাব অনুযায়ী, সাতটি সীমান্ত হাট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং আরও নয়টি রয়েছে উদ্বোধনের অপেক্ষায়। ছিটমহল নিয়ে তাই আলোচনা হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।

ভারতের দেওয়া লাইন অব ক্রেডিটের বেশির ভাগ অংশই পারস্পরিক যোগাযোগ উন্নয়নের জন্য নির্ধারিত। যার মাধ্যমে শুধু বাংলাদেশ ও ভারত নয়, নেপাল, ভুটানের সঙ্গেও জনসংযোগ স্থাপিত হবে। এবারও তেমন আলোচনার ধারাবাহিকতা থাকবে বলে আশা করা যায়। বলা বাহুল্য, পদ্মা রেললিংক ও খুলনা-মোংলা রেলপথ দুই দেশের জন্য অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। বাংলাদেশ থেকে বছরে ১০ লাখের বেশি মানুষ ভারতে ভ্রমণ করে। ২০২১ সালে ভারত থেকে মালবাহী ট্রেনে পণ্য পরিবহন করে ২০০ কোটি টাকা আয়ও করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ইতিহাস বলছে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯৭২ সালে। ২০১৫ সালে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা নবায়ন হয়। বাংলাদেশের স্থিতিশীল অর্থনৈতিক উন্নয়ন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করছে। গত এক দশকে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি তিন গুণ বেড়ে ২০১৮-১৯ সালে ১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। ২০১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশে ভারতীয় রপ্তানি ছিল ৮.২ বিলিয়ন ডলার এবং আমদানি ১.২৬ বিলিয়ন ডলার। প্রকাশিত তথ্যানুসারে, ২০২১-২২ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও চীনকে পেছনে ফেলে ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য হয়েছে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা ও নরেন্দ মোদি এ ইস্যুতেও তাঁদের আলোচনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়নে উভয় দেশ এবার একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যেতে পারে বলে মনে করার সুযোগ আছে। এদিকে জলসীমানা সুরক্ষায় ২০২০ সালে ‘বঙ্গসাগর’ নামে যৌথ নৌমহড়াও অনুষ্ঠিত হয়। ভারত বাংলাদেশ সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির প্রশংসা করেছে এবং এ নীতি সীমান্তবর্তী দুই দেশের জন্যই আশীর্বাদস্বরূপ বলে স্বীকার করেছে। ঢাকা-দিল্লি পারস্পরিক বিশ্বাস আরও জোরদার হয়, যখন বাংলাদেশ ১৮ বছর পর ২০১৫ সালে উলফার শীর্ষ নেতা অনুপ চেটিয়াকে ভারত সরকারের কাছে হস্তান্তর করে।

বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলার জন্য দুই লেজেন্ডারি রাজনীতিক শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি একটি অর্থবহ বৈঠক করার মধ্য দিয়ে দুই দেশের মিত্র সম্পর্ককে আরও মজবুত করবেন বলে বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে। বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপক্ষীয় সুসম্পর্ক আঞ্চলিক পর্যায়ের গন্ডি পেরিয়ে বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রকে আরও সুদৃঢ় করে একটি সমৃদ্ধ অঞ্চল গড়ে তোলার অভিপ্রায়ে সাংস্কৃতিক মনবোধে ভেসে যাক। যে মন বৈশ্বিক রাজনীতির মারপ্যাঁচে দিকভ্রষ্ট হবে না। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির কূটচালে বাংলাদেশে ধর্মীয় অপশক্তির সঙ্গে জনবিচ্ছিন্ন রাজনীতিকদের উচ্চাভিলাষী রাজনৈতিক ইচ্ছার মৃত্যু হোক। ঢাকা-দিল্লি সুসম্পর্ক ও নৈতিকতা সে পথকে মসৃণ করতে পারে। বাংলাদেশের জনশ্রেণির জন্য যে ব্যক্তি জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকেন, সেই শেখ হাসিনা জনস্বার্থ কী, তা বোঝেন। তিনি সংগ্রামী, তিনি মূলধারার রাজনীতির শ্রেষ্ঠ পথ প্রদর্শক।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোন মতবাদের ওপর দাঁড়িয়ে ছিলেন তা দেশবাসীর জানা দরকার। তিনি ছিলেন সেই ব্যবহারিক সত্তা, যিনি নিজেদের উপযোগী শাসনব্যবস্থা কায়েম করত নিজস্ব রাজনৈতিক কৃষ্টিকে পরিচিত করে সোনার বাংলা করতে চেয়েছিলেন। তাঁর জ্যেষ্ঠ আত্মজা শেখ হাসিনা। তিনি বাবার স্বপ্ন পূরণে এক দার্শনিক নেত্রী হয়ে বাংলাদেশের স্বার্থ উদ্ধারে এক অদম্য সত্তা। শেখ হাসিনার দিল্লি সফর সফল হোক। বাংলাদেশের স্বার্থ উদ্ধারে তা অনিবার্যও বটে।

                লেখক : প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

সর্বশেষ খবর