সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

চা শ্রমিকদের কল্যাণ

প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস আশাজাগানিয়া

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা শ্রমিকদের জীবনমানের উন্নয়ন ও কল্যাণে অবদান রাখার আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, জাতির পিতা চা শ্রমিকদের ভোটাধিকার দিয়েছেন। এর পরও তারা ভূমিহীন থাকবে, এটা হতে পারে না। অন্যসব নাগরিকের সঙ্গে তাদেরও বাসস্থানের ব্যবস্থা হবে। শনিবার বিকালে সিলেটের লাক্কাতুরা গলফ ক্লাব মাঠে চা শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এ আশ্বাস দেন। চা শ্রমিকদের কাছ থেকে সোনার চুড়ি উপহার পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা গণভবনে আমার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় উপহার নিয়ে এসেছিলেন। সেই উপহার এখনো আমি হাতে পরে বসে আছি। আমার কাছে এটা হচ্ছে সব থেকে অমূল্য সম্পদ। চা শ্রমিকরা চার আনা আট আনা করে জমিয়ে আমাকে এ উপহার দিয়েছেন। এত বড় সম্মান, এত বড় উপহার আমি আর কখনো পাইনি। কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের জন্য আমার বাবা রাজনীতি করেছেন। কাজেই তারা কষ্টে থাকবে, এটা হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিমিনয়কালে চা বাগানে শ্রমিকদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য যে স্কুল রয়েছে সেগুলো জাতীয়করণের আশ্বাস দেন। চা বাগানের হাসপাতালগুলোর জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হবে। শ্রমিক ও তাদের শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাদ্য খেতে পারে সে ব্যবস্থা করা হবে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে চা শ্রমিকদের আনা হয়েছিল। চা শ্রমিকদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হতো। তাদের বাড়তি শ্রম দিতে বাধ্য করা হতো। জাতির পিতা টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার পর চা শ্রমিকদের কল্যাণে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেন। তাদের নাগরিকত্ব দেন বঙ্গবন্ধু। তিনি সরকারি দলের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, চা শ্রমিকদের দিকে তাকানো তাদের দায়িত্ব। কারণ তারা কোনো দিকে তাকায় না সব সময় নৌকায় ভোট দেয়। স্মর্তব্য, ২৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৫০ টাকা বাড়ান। প্রধানমন্ত্রীর কথামতো শ্রমিকরা ১৮ দিনের ধর্মঘটের অবসান ঘটিয়ে কাজে যোগ দেয়। মতবিনিময় সভায় চা শ্রমিকদের কল্যাণে যেসব পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে তার দ্রুত বাস্তবায়ন প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর