বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

আস্থা ও মৈত্রীর সম্পর্ক

এগিয়ে যেতে হবে আরও সামনে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর দুই দেশের গভীর আস্থা ও মৈত্রীর সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত করেছে। চার দিনের এ সফরের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার দুই দেশের মধ্যে সাতটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশকে খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহে সুনির্দিষ্ট আশ্বাস পাওয়া গেছে ভারতের থেকে। দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত সাতটি সমঝোতা স্মারক হলো-১. কুশিয়ারা নদী থেকে বাংলাদেশ কর্তৃক ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক। ২. বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা বিষয়ে ভারতের বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক। ৩. বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে ভারতের ভোপালে অবস্থিত ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক। ৪. ভারতের রেলওয়ের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোয় বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য দুই দেশের রেল মন্ত্রণালয়ের সমঝোতা স্মারক। ৫. বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্যপ্রযুক্তিগত সহযোগিতার জন্য ভারত ও বাংলাদেশের রেল মন্ত্রণালয়ের আরেকটি সমঝোতা স্মারক। ৬. ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম ‘প্রসার ভারতী’র সঙ্গে বাংলাদেশ টেলিভিশনের একটি সমঝোতা স্মারক। ৭. বিএসসিএল ও এনএসআইএলের মধ্যে মহাশূন্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক। সফরকালে প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে বর্ণাঢ্য রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা দেওয়া হয় মঙ্গলবার। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে দেওয়া চৌকশ গার্ড অব অনার শেষে বলেন, বিপদে সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট থাকবে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্থিতিশীল সমৃদ্ধ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে ভারত-বাংলাদেশ পা মিলিয়ে চলবে। ভারত বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের মিত্র দেশ। মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক ভারতীয় সেনা জীবন দিয়েছেন। দুই দেশের যোদ্ধাদের রক্ত মিশেছে এক স্রোতে। এ রাখীবন্ধন দুই দেশের সম্পর্কের নিয়ামক হিসেবে বিবেচিত। চীনের পরই ভারত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বাণিজ্য সহযোগী। দুই দেশের প্রায় ১৬০ কোটি মানুষের কল্যাণে এ বন্ধুত্ব আরও বেগবান হবে এমনটিই প্রত্যাশিত। আঞ্চলিক শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য তার কোনো বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর