শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু

ইতিহাসের সোনালি অধ্যায়ের অবসান

ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ৯৬ বছর বয়সে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। দীর্ঘ সাত দশক ধরে দুনিয়ার নেতৃস্থানীয় দেশ যুক্তরাজ্য শুধু নয়, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডসহ আরও বেশ কিছু দেশের রানি তথা সাংবিধানিক রাষ্ট্রপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন তিনি। সাবেক ব্রিটিশ শাসিত স্বাধীন দেশগুলোর সংগঠন ব্রিটিশ কমনওয়েলথের প্রধানও ছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। বৃহস্পতিবার সকালে স্কটল্যান্ডের বালমোরো প্রাসাদে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ব্রিটিশ সিংহাসনে সাত দশক রাজত্বকালে তাঁর অধীনে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন চার্চিল থেকে লিজ ট্রাস পর্যন্ত ১৬ জন প্রধানমন্ত্রী। মাত্র দুই দিন আগে মঙ্গলবার তিনি তাঁর আমলের ১৬তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লিজ ট্রাসকে নিয়োগ দেন। বৃহস্পতিবার সকালে দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু হলেও সঙ্গে সঙ্গে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়নি। সকাল থেকেই ব্রিটেনে রানির গুরুতর অসুস্থ সংবাদটি প্রচার হচ্ছিল। রানির মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের সব সদস্য গিয়ে জড়ো হন বালমোরো প্যালেসে। ব্রিটিশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে রানির মৃত্যুসংবাদটি প্রচার করে বিবিসি। এ খবরটি প্রচার হওয়ার আগেই হাজার হাজার মানুষ জড়ো হতে থাকে বাকিংহাম প্যালেসের সামনে। ফুল দিয়ে শত শত মানুষ শোক জানান প্রিয় রানির জন্য। রানির মৃত্যুসংবাদে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। ১৯৫২ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জ মারা যাওয়ার পর থেকে যুক্তরাজ্যকে আর কোনো রাষ্ট্রপ্রধানকে অন্তিম বিদায় জানাতে হয়নি। রানি মারা যাওয়ার পর তাঁর ব্যক্তিগত সচিব ক্রিস্টোফার গাইট প্রধানমন্ত্রীকে খবরটি জানান। পরে লন্ডনে পররাষ্ট্র দফতরের গ্লোবাল রেসপন্স সেন্টার থেকে এ খবর যুক্তরাজ্যের বাইরে ১৫টি দেশের সরকারের কাছে পাঠানো হয়। যুক্তরাজ্যের রানিই এসব দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। এ ছাড়া রানির প্রভাব রয়েছে কমনওয়েলথভুক্ত এমন ৩৬টি দেশেও খবরটি পাঠানো হয়। রানি এলিজাবেথের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন। রানির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ইতিহাসের একটি সোনালি অধ্যায়ের অবসান হলো। তাঁর মৃত্যুর পরপরই যুবরাজ চার্লসকে নতুন রাজা ঘোষণা করা হয়েছে। রানি এলিজাবেথের প্রতি আমাদের শেষ শ্রদ্ধা।

সর্বশেষ খবর