সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর : প্রতিবেশীর সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক মূল কথা

ফরিদা ইয়াসমিন

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর : প্রতিবেশীর সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক মূল কথা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার দিনের দিল্লি সফর নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। এ সফর থেকে বাংলাদেশ কী পেল, কী পেল না এসব আলোচনাই ঘুরেফিরে আসছে। চলছে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির হিসাব-নিকাশ। ভারতে সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফরকে নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। ভারতীয় পত্র-পত্রিকাগুলো প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করেছে। কয়েক দিন ধরেই রাজনৈতিক বিশ্লেষণ ও মতামত ছাপা হয়েছে। এসব বিশ্লেষণ ও মতামতে মূলত শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। বলা হচ্ছে- দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে দুই দেশের স্বার্থই জড়িত। প্রধানমন্ত্রীর চার দিনের সফরসঙ্গী হিসেবে দেখেছি ভারতের জনগণের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ব্যাপারে। কাছ থেকে দেখা এ সফরকে আমি অত্যন্ত সফল একটি সফর মনে করি। তবে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন তিস্তা চুক্তি না হওয়া নিয়ে। এ সফরেই তিস্তা চুক্তির বিষয় সমাধান হবে এমন কোনো ইঙ্গিত আগেভাগে পাওয়া যায়নি। কারণ তিস্তার বিষয়টি অনেকটা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের ওপর নির্ভরশীল। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিসহ সব অমীমাংসিত ইস্যু শিগগিরই সমাধান হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর অত্যন্ত ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কেটেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু ছাড়াও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। নোবেল বিজয়ী কৈলাস সত্যার্থী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির ছেলেমেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ভারতের শীর্ষ ব্যবসায়ী গৌতম আদানি সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। বিশ্বে শীর্ষ ব্যবসায়ীদের তালিকায় ৩ নম্বরে রয়েছেন আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। আদানি গ্রুপ বাংলাদেশের জ্ব¦ালানি ও অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছে। এবারের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণিজ্যের ভারসাম্য কমিয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছেন। এর জন্য সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সেপা) সহায়ক হবে। ৭ সেপ্টেম্বর দুই দেশের ব্যবসায়ী নেতাদের বৈঠকে ভাষণ দেন শেখ হাসিনা। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে। তিনি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের মোংলা ও মিরসরাই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। এ ছাড়া ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নেন। এবারের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং সেই সঙ্গে বাংলাদেশি পণ্য আমদানির অনুরোধ জানান। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী অবকাঠামো, শিল্প-কারখানা, জ¦ালানি ও পরিবহন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। গৌতম আদানি শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে টুইটে তিনি শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে তাঁর সাহসী দৃষ্টিভঙ্গি অনুপ্রেরণাদায়ক। আদানি গ্রুপ বাংলাদেশের জ¦ালানি ও অবকাঠামো খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। আদানি গ্রুপ নৌপরিবহন, উন্নত প্রযুক্তির জ¦ালানি ও বড় পরিসরে সেবা খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। এদিকে এ বছরের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে আদানি গ্রুপের ঝাড়খন্ডের গোড্ডা বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে কুশিয়ারা নদীর পানি প্রত্যাহার, রেল যোগাযোগের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আধুনিকায়ন, মহাকাশ গবেষণা, প্রসার ভারতী ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের মধ্যে সম্প্রচারে সমঝোতাসহ সাতটি সমঝোতা  স্বাক্ষর হয়। এবারের সফরে আরেকটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হচ্ছে ভারতের স্থলভাগ ব্যবহার করে বাংলাদেশি পণ্য বিনা শুল্কে তৃতীয় দেশে রপ্তানি করার সুযোগ। বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ডিজেল, চাল, গম, পিঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহে ভারত প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাংলাদেশে জ¦ালানি সরবরাহের জন্য পাইপলাইন ও আন্তসঞ্চালন লাইন স্থাপন করে ভারত ছাড়াও ভুটান ও নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনার সুযোগ করে দেবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পথে এই বিমানবন্দরেই নেমেছিলেন এবং সেখানে তাঁকে বিপুল সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পালাম বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ভারতের রেল ও টেক্সটাইল প্রতিমন্ত্রী মিজ দর্শনা বিক্রম জারদোস ফুল দিয়ে তাঁকে বরণ করে নেন এবং একটি সাংস্কৃতিক দল নৃত্যের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের প্রথম দিনই বিকাল ৪টায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রীর হোটেল কক্ষে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। ভারতের রীতি অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় অতিথিকে রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে ফোরকোর্টে স্বাগত জানানো হয়। নরেন্দ্র মোদি সেখানেই রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষীদের একটি অশ্বারোহী দল রাষ্ট্রপতি ভবনের গেট থেকে ফোরকোর্ট পর্যন্ত এসকর্ট করে। ভারতীয় সশস্ত্র তিন বাহিনীর একটি চৌকশ দল রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে গার্ড অব অনার দেয়। এ সময় দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। পরে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর  বেলা সাড়ে ১১টায় হায়দরাবাদ হাউসে নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনার একান্ত বৈঠক হয়। বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে শেখ হাসিনা ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ককে প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল উল্লেখ করে বলেন, প্রতিবেশীর মধ্যে সমস্যা থাকতে পারে, তা আলাপ-আলোচনা করে সমাধান করতে হবে।  আমরা অনেক কিছু আলোচনা করে সমাধান করেছি। শেখ হাসিনা বন্ধুত্বেই মুশকিল আসান এই মূলমন্ত্রে আশা প্রকাশ করেন তিস্তাসহ অমীমাংসিত সবকিছু আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  যৌথ বিবৃতিতে বলেন, দুই দেশের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদী আছে, যাতে দুই দেশের মানুষের আবেগ-অনুভূতি জড়িত। এগুলো শত শত বছর ধরে দুই দেশের মানুষের সঙ্গে সংযুক্ত থেকেছে। আজকে আমরা কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। এটা ভারতের দক্ষিণ আসাম ও বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলকে উপকৃত করবে। মোদি ১৯৭১ সালের মূল চেতনাকে ধারণ করে সন্ত্রাস ও শত্রুদের মোকাবিলায় বাংলাদেশের মানুষের পাশে থেকে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে রক্তের বন্ধনে তৈরি। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পাশে ছিল ভারত। বাংলাদেশের ১ কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল ভারত। শেষ মুহূর্তে ভারতীয় সৈন্যরা যুদ্ধে জীবন দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ ভারতীয় সৈন্যদের আত্মত্যাগের কথা কখনো ভোলেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই কৃতজ্ঞতায় সফরের তৃতীয় দিন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও যুদ্ধাহত সৈন্যদের পরিবারবর্গের হাতে ‘মুজিব স্কলারশিপ’ প্রদান করেন। ১০০ জন দশম শ্রেণি ও ১০০ জন দ¦াদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীকে এই মুজিব স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। স্কলারশিপ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাঁদের বংশধরদের প্রতি আমাদের এই শুভেচ্ছা উপহার। তিনি আরও বলেন, তরুণ প্রজন্মকে আমাদের ঐতিহাসিক ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত করাই আমাদের বিনীত প্রচেষ্টা। হোটেল আইটিসি মৌর্যের বলরুমে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের চোখেমুখে ছিল খুশির ঝিলিক। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছেলেমেয়েদের হাতে স্কলারশিপের চেক তুলে দিয়ে তাদের সঙ্গে ছবি তোলেন এবং তাদের পরিবারের খোঁজখবর নেন। একেবারে ভারতের প্রান্তিক পর্যায় থেকে আসা পরিবারগুলো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিতকায় মুগ্ধ হন।

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফেরার পথে দিল্লিতে মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু একই সঙ্গে অনুরোধ করেছিলেন ভারতীয় সৈন্য ফিরিয়ে নেওয়ার। ভারতের সেই সময়ের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী সেই অনুরোধ রক্ষা করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে তৈরি সম্পর্কের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলেছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার এবারের সফর সেই ধারাবাহিকতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কভিডের সময়েও এসে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। তখন মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান। এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর অনেকটা রুটিন সফরের মতো। মূলত নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণ রক্ষা এবং এ সফরের মধ্য দিয়ে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এ ধরনের সফরের মধ্য দিয়ে বিদ্যমান সংকটগুলো ক্রমশ সমাধান হবে। দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন থাকতেই পারে, আবার বন্ধুত্ব দিয়ে আন্তরিকতা দিয়ে অনেক সমস্যার সমাধানও হয়। সীমান্ত সমস্যা, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, বাণিজ্য বৈষম্য দূর- এই সবকিছু রাতারাতি মেটানো সম্ভব নয়। এ সরকারই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি, ছিটমহল সমস্যার সমাধান, সমুদ্রসীমা জয় ইত্যাদি কূটনীতির অনেক সাফল্য অর্জন করেছে। এবারের সফরের মধ্য দিয়েও অনেকগুলো অর্জন বাংলাদেশের আছে। এভাবেই কূটনীতির নানা প্রচেষ্টায় তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যাও বাংলাদেশ পাবে সেই আশা করি। বন্ধুত্বের বদল হতে পারে, প্রতিবেশী বদলানো যায় না। তাই প্রতিবেশী এবং পরীক্ষিত বন্ধুর সঙ্গে উত্তরোত্তর সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই উত্তম।

শেখ হাসিনা ভারত সফরের প্রথম দিনই দিল্লির নিজামউদ্দিন আউলিয়ার মাজার জিয়ারত করেন। সফরের শেষ দিন রাজস্থানের জয়পুরে যান। রাজস্থানের রাজধানী জয়পুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে সেখানে একটি সাংস্কৃতিক দল ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে তাঁকে স্বাগত জানায়। জয়পুর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজমির শরিফ পরিদর্শনে যান। তিনি আজমির শরিফে নফল নামাজ পড়ে দেশ ও জনগণের মঙ্গল কামনা করেন। শেখ হাসিনা আজমির শরিফের পরিদর্শন বইতে এ দেশের জনগণের কল্যাণের জন্যই প্রার্থনা করেন। আজমির শরিফ জিয়ারত শেষ করেই প্রধানমন্ত্রী ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটযোগে ঢাকা আসেন।

লেখক : সভাপতি, জাতীয় প্রেস ক্লাব

সর্বশেষ খবর