সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

মিয়ানমারে সংঘর্ষ

সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন

মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সে দেশের সরকারি বাহিনীর অভিযান তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে মাত্রা ছেড়ে গোলাগুলি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়ায় সীমান্তবর্তী এলাকার নাগরিকদের জন্য দেখা দিচ্ছে নিরাপত্তা সংকট। মিয়ানমারের কাছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আপত্তি জানানো হয়েছে। শুক্রবার ও শনিবার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের গোলাগুলি বিনিময়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিদ্রোহী আরাকান আর্মির একটি দল মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পোশাক পরে সীমান্তবর্তী একটি সেনা ক্যাম্প দখলে নেয়। তার পরপরই শুরু হয় সেনাবাহিনীর ভারী গোলাবর্ষণ। ঘুমধুমের ভাজাবুনিয়ার চাকপাড়া গ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা প্রাণ ভয়ে অন্যত্র পালিয়ে যাচ্ছে। রকেট লাঞ্চার দিয়েও সেনাবাহিনী হামলা চালাচ্ছে বিদ্রোহীদের ওপর। মিয়ানমারের সরকার ও বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও তা অনাকাক্সিক্ষতভাবে বাংলাদেশের জন্য উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ১২ লাখ রোহিঙ্গা। রাখাইনদের নিয়ে গঠিত আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষ নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হওয়ায় পরিস্থিতি নাজুক হয়ে উঠছে। সংঘর্ষের ঘটনা দীর্ঘায়িত হলে বাংলাদেশে রাখাইনদের অনুপ্রবেশের আশঙ্কা বৃদ্ধি পাবে। এমনিতেই বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে আশ্রয় নেওয়া ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। নতুন করে রোহিঙ্গা কিংবা রাখাইন কোনো অনুপ্রবেশই প্রত্যাশিত নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্কের স্বার্থে মিয়ানমার বান্দরবান সীমান্তে তাদের পরিচালিত অভিযানের ব্যাপারে সতর্ক হবে। বিদ্রোহীদের দমনের নামে দুই দেশের সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে এমন সব তৎপরতা থেকে বিরত থাকবে। সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিবি সতর্ক ভূমিকা পালন করবে এমনটিইও প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর