বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

পুলিশের হয়রানিমুক্ত রাজনীতি

মেজর অব. আখতার

পুলিশের হয়রানিমুক্ত রাজনীতি

সংবিধানের তৃতীয় ভাগে ‘সমাবেশের স্বাধীনতা’ শিরোনামে ৩৭ অনুচ্ছেদে পরিষ্কারভাবে লেখা আছে, ‘জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধানিষেধ -সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হইবার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবে।’ এখানে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে, ‘শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায়’ প্রত্যেক নাগরিকের জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু সব রাজনৈতিক দলের প্রচলিত নিয়ম হয়ে গেছে কে কত অশান্তিপূর্ণভাবে এবং সশস্ত্র অবস্থায় জনসভা ও শোভাযাত্রায় যেতে পারে তার কৃতিত্ব দেখানোর। এর ফলে জনসভা বা শোভাযাত্রায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় এবং অস্ত্রের মহড়া চলে। এতে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাজনীতি মামলা-মোকদ্দমা, হয়রানির শিকার হয়। নেতা-কর্মীরা তখন জেল-জুলুমের ভয়ে ঘরবাড়ি ও গ্রাম ছাড়া হয়। তখন মূল আন্দোলন রেখে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার হতে রক্ষা করার জন্য পুলিশের পা ধরতে হয়, উকিলদের সঙ্গে দেনদরবারে যেতে হয় এবং উচ্চ আদালতকে বিব্রত করা হয়। শুধু তাই নয়, অশান্তিপূর্ণ বা সশস্ত্র জনসভা বা সমাবেশের জন্য প্রথমে সেজন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করে খারাপ কর্মী এবং তাদের জন্য অস্ত্র সংগ্রহ করে দিতে হয়। পরে আবার তাদের এবং তাদের সঙ্গে নিরীহ ও নিরপরাধ নেতা-কর্মীদের আইনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য পুলিশ ও উকিলদের পেছনেও প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়। এ অর্থ সংগ্রহের জন্য আবার উকিল ও বিত্তবানদের দলের বড় বড় পদে বসাতে হয়। কিছু অপরিপক্ব নেতার কারণে রাজনীতিতে একটি দুষ্টচক্র তৈরি হয়ে গেছে যাদের কারণে রাজনীতি এখন নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে পুলিশের আস্তানা ও অধস্তন আদালতের বারান্দা থেকে। যে-কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করার নামে কতগুলো খারাপ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির চিহ্নিত কিছু লোক সন্ত্রাস সৃষ্টি করে রাজনৈতিক কর্মসূচি বিপদে পরিচালিত করে দলকে বিব্রত অবস্থায় ফেলে দেয়। তারপর রাজনৈতিক কর্মসূচি টাঙায় উঠিয়ে দলের নেতাদের পুলিশের কাছে নত হতে বাধ্য করে। আর না হলে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে উচ্চ আদালতের বারান্দায় ঘুরে ওই শয়তানদের অপকর্মের মাশুল দিতে হয়।

সশস্ত্র বিপ্লব এক, আর নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন আরেক বিষয়। যে-কোনো সরকারের বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার অধিকার দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের আছে এবং থাকবে। যদি কোনো সরকার শক্তি প্রয়োগ করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন থামাতে বা নিয়ন্ত্রণ করতে চায় তাহলে ক্ষতি বা পতন হবে সরকারের। সরকার পুলিশ দিয়ে গুলি বা গ্রেফতার করে শান্তিপূর্ণ কোনো আন্দোলন দমন করতে চাইলে জনগণ তা কখনই মেনে নেবে না। সরকারের বিরুদ্ধে তখন জনগণ রাস্তায় নেমে আসে যা সরকারের পতনকেই নিশ্চিত করবে। আর যদি অশান্তিপূর্ণ বা সশস্ত্র আন্দোলন করতে কোনো রাজনৈতিক দল মাঠে নামে তাহলে তা যে-কোনো মূল্যে দমন করার আইনগত অধিকার সরকারের রয়েছে। সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্রকে শান্তিপূর্ণ রাখা যে- কোনো সরকারর মূল দায়িত্ব এবং কর্তব্য। জনগণের স্বার্থ ও নিরাপত্তার জন্য তখন সরকার তার পুরো পুলিশ বাহিনী ও প্রশাসনকে আন্দোলনের নামে যারা অশান্তি সৃষ্টি করবে বা অস্ত্র নিয়ে মিছিল বা শোভাযাত্রা করবে তাদের দমন করার জন্য অস্ত্র দিয়েই পাঠিয়ে দেবে। সরকার যদি তখন গুলি চালিয়ে এবং প্রয়োজনে হত্যা করেও মিছিলকারীদের দমন করতে পারে তাহলে সবাই সরকারকে বাহবা দেবে এবং মিছিলকারীদের সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দেবে!

রাজনীতিতে রাজপথে বা মাঠে অবস্থান সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক কর্মসূচি। সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বা সশস্ত্র অবস্থায় রাজপথে টিকে থাকা অনেক বেশি কঠিন ও রক্তক্ষয়ী। যদি সশস্ত্র আন্দোলন করতে হয় তাহলে চূড়ান্ত কর্মসূচি দিতে হবে যেখান থেকে কোনো অবস্থায়ই ফিরে আসা যাবে না। অতীতে যারাই সশস্ত্র আন্দোলনে গিয়েছে তারা সবাই চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ নিরস্ত্র আন্দোলন সশস্ত্র আন্দোলনে নিয়ে গিয়ে সরকারকে নতি স্বীকার করতে বাধ্য করেছে। নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ নিরস্ত্র জনসভা ও শোভাযাত্রা বা মিছিল যা সংবিধান শর্ত সাপেক্ষে দেশের সব নাগরিককে অনুমোদন দিয়েছে তার সঙ্গে সশস্ত্র শোভাযাত্রা বা মিছিলকে গুলিয়ে ফেললে হবে না। কোনো রাজনৈতিক দল কখনই সশস্ত্র শোভাযাত্রা বা মিছিল করতে পারে না। এ ধরনের আচরণ করলে ওই রাজনৈতিক দল বিপর্যয় তথা অস্তিত্বের সংকটে পড়ে যাবে। নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল কখনই সশস্ত্র আন্দোলনে বিশ্বাস করতে পারে না। বিশ্বের কোনো দেশেই কোনো রাজনৈতিক দল প্রকাশ্যে সশস্ত্র আন্দোলন বা রাজনীতির কথা বলতে বা প্রচার করতে পারে না। যদি কোনো দেশে কোনো রাজনৈতিক দল প্রকাশ্যে কোনো ধরনের সশস্ত্র রাজনীতি করার চেষ্টা করে তাহলে খোদ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠিয়ে ওই রাজনৈতিক দলকে কঠোরভাবে দমন করে। এটাই বর্তমান বিশ্বের রাজনৈতিক শিষ্টাচার। তবে তার বিকল্পও আছে কিন্তু যারা বিকল্প পথে হাঁটে তারা সব সময় অস্তিত্ব সংকটে থাকে।

বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি একটি ত্রিশঙ্কু অবস্থায় বিরাজমান। বড় রাজনৈতিক দলটির অবস্থা আরও লেজেগোবরে। একে তো দলের ভিতরে ন্যূনতম গণতন্ত্র নেই। এক ধরনের স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব নিয়ে যথেচ্ছভাবে দল সংগঠিত করার চেষ্টা হচ্ছে। দলের সব ক্ষমতা খাড়ালোভাবে এককেন্দ্রিমুখী যাকে বলা যেতে পারে শীর্ষে একবিন্দুতে যার কোনো তল নেই। দলে একজন ছাড়া দলের ব্যাপারে কথা বলার দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তি নেই। টাকা এবং নগ্ন চাটুকারিতা দলের পদপদবি পাওয়ার একমাত্র যোগ্যতা। এমনকি স্থায়ী কমিটির সদস্যপদ রক্ষাও নির্ভর করে টাকা ও নগ্ন চাটুকারিতার ওপর। এর বাইরে নতুন করে পদ পাওয়া অনেক দূরের কথা! দলের কোনো রাজনৈতিক লক্ষ্য ও কর্মকান্ড নেই। বুঝে বা না বুঝে ঘোষিত কর্মসূচি পালন করার লোক দেখানো মহড়া। দলের মূল আদর্শের খবর কেউ রাখে না। এমনকি দলের নেত্রীকে জেল থেকে মুক্ত করার ন্যূনতম প্রচেষ্টা নেই। আন্দোলন দূরের কথা, আলোচনাও নেই। সবাই পদপদবি বাগাতে ব্যস্ত। কিন্তু সেই পদপদবি দিয়ে কী করবে তারও কোনো ব্যাখ্যা নেই। যারা আওয়ামীবিরোধী স্বাধীনতার পক্ষের কিন্তু ধর্মভিত্তিক রাজনীতির অনুসারী নয় তারা না পারছে দল ছাড়তে, না পারছে দলে টিকে থাকতে। একমাত্র পারা যায় নিশ্চুপ থাকতে কিন্তু তাতে যে আগামী প্রজন্মের স্বাধীনতা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে সেই ভাবনাও তাড়িয়ে বেড়ায়।

এ সরকার অবশ্যই শেষ সরকার নয়। তবে আগামীতে টিকে থাকার মতো ভালো বিকল্প সরকারও দৃশ্যমান নয়। গ্রাম-গঞ্জে, হাটে-মাঠে মানুষের মনে সুখ নেই। বর্তমান সরকারের প্রতি তাদের আস্থাও নেই। সবাই বিশ্বাস করে এ সরকারের চারপাশের প্রায় সবাই দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। এমন একজন সচিব নেই যে চুক্তিবদ্ধ চাকরি চায় না, এমন একজন নেই যে নিজের স্বার্থের ঊর্ধ্বে দেশের কথা বলে, এমন একজন নেই যার বিবেকের কথা জনগণ জানে, একজন পুলিশ কর্মকর্তা নেই যে দুষ্টের সঙ্গে কলঙ্কিত নয়, একজন বড় বা ছোট ব্যবসায়ী নেই যার কাছে তার নিজের চাহিদার চেয়ে জনগণের চাহিদার প্রাধান্য, একজন সম্পাদক নেই যে সত্য প্রকাশ করতে নিজের জীবন বিপন্ন করতে প্রস্তুত, একজন শিক্ষক নেই যার নীতি-নৈতিকতা অনুসরণ করা যায়। যদি থাকত তাহলে পরিবর্তন অনেক আগেই হয়ে যেত। একজন মন্ত্রী সাহস পেত না দম্ভ করে বলতে যে, ভিন্ন দেশের সরকারকে ক্ষমতায় রেখে আসার কথা। মনে হয় আমাদের মাথা প্রায় সম্পূর্ণ পচে গেছে! দেশে প্রয়োজন ছিল একটি শক্তিশালী বিরোধী দলের। জনগণের আশা ছিল জনগণের উত্তাপ দেখে বিরোধী দল দেশে একটি পরিবর্তন আনতে পারবে। জনগণ সেখানেও হতাশ হয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক কর্মকান্ড তথা আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা করে জনগণকে আরও হতাশ করে দেওয়া হলো। হঠকারী রাজনৈতিক তথা আন্দোলনের কর্মসূচি দলের নেতা-কর্মীদের পুলিশের কাছে জিম্মি করা হলো। আন্দোলনকে ভুলভাবে সশস্ত্র রূপ দিয়ে পুলিশের জন্য গ্রেফতার বাণিজ্যের সুযোগ করে দেওয়া হলো।

পুলিশ এমনিতেই দেশের সবচেয়ে রাজনৈতিক খেলোয়াড় হয়ে গেছে। পুলিশ এখন সরকারপ্রধানের সবচেয়ে আদরের ধন। তাঁর কাছে পুলিশের সাত খুন মাফ। এখন আর অন্য কাউকে বাদী হয়ে মামলা করতে হয় না। ইচ্ছামতো কয়েক রাউন্ড গুলি করেই শত শত লোকের নামে এবং সেই সঙ্গে কয়েক শ অজ্ঞাত লিখে গ্রেফতার-বাণিজ্যের হাট খুলে বসা হয়েছে প্রতিটি থানায়। সরকারি রাজনৈতিক দলকে আর তার প্রতিপক্ষের সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াই লড়তে হয় না। পুলিশ বিরোধী দলকে ইচ্ছামতো দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে। যখন যার সঙ্গে যেভাবে পারছে সেভাবেই নয়ছয় করে যাচ্ছে। আর বিরোধী দল চাপাবাজি করে বেড়াচ্ছে- রাজপথ ছাড়ি নাই, খালেদা জিয়ার ভয় নাই!!! আর পুলিশ ধরলেই- আমি তো বিরোধী দল করি না। এমপি সাহেবকে জিজ্ঞাসা করেন উনার নির্বাচন কে করেছে। আগের ওসি সাহেব আমাকে ভালো করে চিনত। তারপর পুলিশ থেকে মুক্ত হতে না পারলে মর্দুকে সাত দিনের মধ্যে জামিন করিয়ে নিয়ে আসতে হবে, না হলে নেতাদের খবর আছে। তারপর দৌড়ান হাই কোর্টে, লাখ লাখ টাকা খরচ করে নিয়ে আসেন আগাম জামিন। পুলিশও চিনে গেছে আমাদের। তাই এখন অজ্ঞাত আসামি বেড়ে গেছে। ধরেই নগদ বাণিজ্য, না হলে হাজতে। তখন মালকড়ি খরচ করে নিয়ে আসো জামিন। জেলার পুলিশের বড় কর্মকর্তা কাঁচাবাজারের আড়তদারের মতো, সব বেচাকেনার কমিশন। যত গ্রেফতার তত কমিশন।

রাজনীতিতে আরেক নতুন সৃষ্টি ছাত্রনেতা। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় দূরের কথা, হাই স্কুলেও পড়েনি কিন্তু এলাকার বিশাল ছাত্রনেতা! এলাকার সব ধরনের মাদক, চাঁদাবাজিসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই যার সঙ্গে নেতা জড়িত নয়, কিন্তু খারাপ বলে কেউ তাদের ঘাঁটে না, ফলে সে বিরাট নেতা। কেন্দ্র কোনো কর্মসূচি দিলে মর্দু সবার আগে ঝাঁপিয়ে পড়ে একটা অপকর্ম করে সবাইকে পুলিশের গুলি খাওয়ার ব্যবস্থা করবে এবং নিজেও গুলি খাবে, হয়ে যাবে বড় নেতা। তারপর কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ছবি, সেই ছবির পর তাকে আর কে জিজ্ঞাসা করবে তিনি কোন ক্লাস পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তিনি হয়ে গেলেন বড় নেতা। তারপর যেখানে যত গন্ডগোল তিনি সেখানে হিরো! রাজনৈতিক নেতাদের দুর্বলতা ও অযোগ্যতার সুযোগে রাজনীতি কলুষিত করে এসব ছাত্রনেতার কারণে জনগণকে অব্যাহত লুটে যাচ্ছে পুলিশ কিন্তু কারও কিছু করার নেই। আজকে বিরোধী দলের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা এখানে। এ জায়গায় উন্নতি বা সংশোধন করতে না পারলে রাজনীতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে আনা যাবে না।

রাজনীতি আদালতের বারান্দায়ও নেওয়া যাবে না। বিশেষ করে উচ্চ আদালতের বারান্দায়। কোনো রাজনৈতিক মামলা হলেই শত শত আসামি গিয়ে উচ্চ আদালতের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকে। উচ্চ আদালতে আসামির কাঠগড়া নেই। তাই সেখানে আসামিদের দাঁড়ানোর জায়গা নেই। তা ছাড়া উচ্চ আদালত একসঙ্গে পাঁচ-সাত জনের বেশি দরখাস্ত নেয় না। ফলে ২০০ আসামি হলে দরখাস্ত লাগে ৩০-৪০টি। এ ৩০-৪০টি দরখাস্ত আলাদাভাবে শুনানি করতে যেমন লাগে অনেক সময় তেমন শত শত আসামি গিয়ে ভিড় করে উচ্চ আদালতে। বিষয়টি বিবেচনায় সব আসামিকে দেশের দূরদূরান্ত থেকে না ডেকে এনে উকিল সাহেবদের মাধ্যমে একটি মামলার সব আসামির জন্য একটি দরখাস্ত শুনানি করার ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না তা ভাবার অবকাশ আছে বলে অনেকেই মনে করেন।

সরকার আসবে, সরকার যাবে। কোনো সরকারই চিরস্থায়ী নয়। কিন্তু রাজনীতি চিরস্থায়ী। তাই রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন আবশ্যক। রাজনীতি জনগণের কল্যাণ ও নিরাপত্তার স্বার্থে করতে হবে। যারাই রাজনীতি করবেন তাদের চরিত্র, মানসিক শক্তি, যোগ্যতা, মননশীলতা অবশ্যই স্বচ্ছ ও জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করার মতো আস্থাবান হতে হবে।

 

            লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য

সর্বশেষ খবর