বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ

যুগোপযোগী করার উদ্যোগ প্রশংসনীয়

সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া নির্বাচন পদ্ধতি যেমন অর্থহীন হয়ে পড়ে তেমন প্রশ্নবিদ্ধ হয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। আমাদের এ উপমহাদেশে পেশিশক্তির ব্যবহার যেন নির্বাচন পদ্ধতির অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে প্রতিটি নির্বাচনেই পেশিশক্তির ব্যবহার ভোটযুদ্ধের মাহাত্ম্য কেড়ে নিচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এ বড় সংশোধন আনার প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ভোট কেন্দ্রে পেশিশক্তির ব্যবহার রোধে নতুন আটটি ধারা সংযোজনসহ মোট ১৯ বিষয়ে সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নতুন ছয়টি ধারা ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তাসংক্রান্ত। পাশাপাশি পক্ষপাতদুষ্ট বা আইন লঙ্ঘনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও শাস্তির আওতায় আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। নির্বাচনী কাজে বাধাদানকারীর শাস্তি এবং গণমাধ্যমকর্মী,

পর্যবেক্ষক, ভোটারদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একাধিক নতুন ধারা সংযোজনের প্রস্তাব করেছে ইসি। এসব ধারা-উপধারায় সর্বোচ্চ সাত বছরের জেল ও জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে। সংশোধন প্রস্তাবগুলো যাচাই-বাছাই করছে আইন মন্ত্রণালয়। তাদের সম্মতি সাপেক্ষে অনুমোদনের জন্য শিগগিরই মন্ত্রিসভায় তা উপস্থাপন করা হবে। আগামী বছরের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ফলে সন্ত্রাস ও কারচুপি মুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য ইসি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বড় সংশোধন আনার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছে। আশা করা হচ্ছে সংশোধনটি পাস হলে নির্বাচনে সন্ত্রাস ও কারচুপির পথ বন্ধ হবে। দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো দ্বিমত নেই। তার পরও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হচ্ছে না পেশিশক্তি ও কালো টাকার প্রতিভূদের কারণে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর সংশোধন সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ রচনা করলে তা জাতির জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর