বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

অসহনীয় যানজট

ফুটপাত ও রাস্তা অপদখল বন্ধ হোক

যানজট এখন সারা বছরের সমস্যা এবং রাজধানীবাসীর জন্য এক বিড়ম্বনার নাম। মহাসড়কগুলোতেও প্রায়ই লেগে থাকে মহাযানজট। দেশের অগ্রগতি থামিয়ে দিচ্ছে এ ভয়ংকর সমস্যা। সময়ের এক ফোঁড় আর অসময়ের দশ ফোঁড় সমান কথা। সময় ও নদীর স্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করে না। যানজটের কারণে যে সময় নষ্ট হচ্ছে অর্থনীতির বিচারে তা ভয়াবহ। এ সমস্যা উৎপাদনশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। দেশের রপ্তানি বাণিজ্য অনিশ্চিত করে তুলছে। বিদেশিরা বাংলাদেশের রাজধানীকে অস্বস্তির দৃষ্টিতে দেখেন যানজটের কারণে। যেসব কারণে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ নিরুৎসাহ হচ্ছে যানজট তার অন্যতম। এ সমস্যা সমাধানে পূর্বসূরিদের মতো বর্তমান সরকারের উদ্যোগ থাকলেও তার অবস্থা কাজির গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই-এর মতো। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় রাজধানীর যানজট সমস্যা সমাধানে ফ্লাইওভারসহ প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেও খুব বেশি সুফল মিলছে না। রাজধানীর যানজট নিরসনে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও মেট্রোরেল চালু এবং ফ্লাইওভার নির্মাণই যথেষ্ট নয়, ট্রাফিক ক্ষেত্রে সুস্থ ব্যবস্থাপনাও নিশ্চিত করতে হবে। রাজধানীর ফুটপাত ও রাজপথ অবৈধ দখলমুক্ত না হলে যানজটের থাবা ঠেকানো দুরূহ হয়ে পড়বে। যানজট নিরসনে যেখানে-সেখানে পার্কিং বন্ধ ও চলাচল ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী হতে হবে। রাজধানীর ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত এবং যেখানে-সেখানে পার্কিংয়ের প্রবণতা রোধ করা গেলে যানজট অন্ততপক্ষে ৯০ ভাগ নিরসন করা সম্ভব হবে। বিষয়টি সবার জানা থাকলেও ফুটপাত অপদখলের সঙ্গে রাজনৈতিক টাউট, মাস্তান ও প্রশাসনের উৎকোচভোগীদের স্বার্থ থাকায় এ ব্যাপারে কেউ এগিয়ে আসছে না। যানজট জাতীয় অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে। উৎপাদনের জন্য যে সময় ব্যয় হওয়ার কথা তা গিলে খাচ্ছে এ সমস্যা। গত এক দশকে যানজটে অপচয় হওয়া সময় ব্যবহƒত হলে বাংলাদেশ আরও বেশি সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হতো। ফলে এ সমস্যা সমাধানে আন্তরিক প্রয়াসই এখন সরকারের লক্ষ্য হওয়া উচিত। যানজট নিরসনে ট্রাফিক-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে শক্ত হাতে। এর কোনো অন্যথার সুযোগ নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর