বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ডেঙ্গু ও করোনা

সাবধানতার বিকল্প নেই

দেশে কভিড-১৯ ও ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের হার এখন ঊর্ধ্বমুখী এবং জনমনে তা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনা পরীক্ষায় সংক্রমণের হার সাড়ে ১০ শতাংশে পৌঁছেছে। বছরের এ সময়টা ডেঙ্গু সংক্রমণের মৌসুম বলে বিবেচিত। এ বছর ডেঙ্গু গত বছরের চেয়ে বেশি থাবা বিস্তার করতে পারে এমন আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার ডেঙ্গুতে দুজন মারা গেছেন, তার আগের দিন মারা গেছেন চারজন। বর্তমানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১ হাজার ২১৩ জন ভর্তি রয়েছেন। তার মধ্যে ঢাকার ৪৭ সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৮৯৫ জন। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩১৮ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯ হাজার ৪৪৮ জন। এর মধ্যে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। গত বছর সারা দেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন আর মারা যান ১০৫ জন। দেশে আবারও বাড়ছে করোনা শনাক্তের সংখ্যা। করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মঙ্গলবার একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত হয়েছেন ৪৩৫ জন। সংক্রমণ শনাক্তের হার ১০.৫৫ শতাংশ। ডেঙ্গু ও করোনার থাবা বিস্তার দেশের জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। ২০২০ সালে করোনা যে আঘাত হানে তাতে অর্থনীতির অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি হয়, যে ধকল পূরণ করতে বহু বছর লেগে যাবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সাংবার্ষিক হুমকি হয়ে দেখা দিচ্ছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। দুই সিটি করপোরেশন মশা নিধনের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে এবং নাগরিক সচেতনতা সৃষ্টি হলে ডেঙ্গুর অভিশাপ থেকে রাজধানীর দেড় কোটি মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হতো। কিন্তু দুটি ক্ষেত্রেই রয়েছে ঘাটতি। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য সাক্ষাৎ হুমকি হয়ে বিরাজ করছে। এ বিষয়ে কুম্ভকর্ণের ঘুমে আচ্ছন্ন না থেকে দুই সিটিতে মশা নিধনের বাড়তি উদ্যোগ নেওয়া হবে- এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর