শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক

জোর কদমে চলতে হবে একসঙ্গে

সদ্য সমাপ্ত ভারত সফর দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নয়াদিগন্তের সূচনা করেছে এমনটিই দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার গণভবনে ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের সব দলমত এক থাকে এটি বড় কথা। একটি দেশের সঙ্গে নানা সমস্যা থাকতে পারে, কিন্তু আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানও করা যায়। যে কারণে স্থলসীমানা চুক্তি বাস্তবায়ন ও ছিটমহল বিনিময় চুক্তি ভারতীয় পার্লামেন্টে পাস হয়েছে সর্বসম্মতক্রমে। ভারত সফরের অর্জন সম্পর্কে সমালোচকদের বক্তব্য নাকচ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাদের আমলেই ভারত সফরে দেশের স্বার্থ বিসর্জন এবং গঙ্গার পানি নিয়ে কথা বলতে ভুলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কুশিয়ারা চুক্তির ফলে সিলেট বিভাগের ১৬ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হবে। ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়ায় পরিবহন খরচ কমবে। জ্বালানি সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছে ভারত। এলএনজি আমদানির বিষয়েও কথা হয়েছে। ভারতের রাষ্ট্রীয় সংস্থা থেকে সরকারি পর্যায়ে জ্বালানি তেল আমদানিতে তালিকাভুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। ফলে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা যেমন নিশ্চিত হবে তেমন সাশ্রয় হবে বৈদেশিক মুদ্রা। ভুটানের সঙ্গে রেল যোগাযোগ ও অন্যান্য আন্তসীমান্ত রেল সংযোগে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারে সম্মতি পাওয়া গেছে। চিনি, পিঁয়াজ, আদা, রসুনের মতো খাদ্যপণ্য রপ্তানি বন্ধের আগে বাংলাদেশকে আগাম বার্তা দিতে ভারত পদক্ষেপ নেবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনেও তারা বাংলাদেশকে সহযোগিতা দেবে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিটি বিদেশ সফরের অর্জন সম্পর্কে দেশবাসীকে অবহিত করা বর্তমান সরকারের ঐতিহ্যের অংশ। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর শেষেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খুবই প্রাসঙ্গিক এবং অর্থবহ। সবকিছু বদলানো গেলেও প্রতিবেশী বদলানো যায় না। ভারত শুধু বাংলাদেশের প্রতিবেশী নয়, মুক্তিযুদ্ধের মিত্র।  মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর রক্ত একাকার হয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তা উভয়ের কল্যাণে এগিয়ে নিতে হবে। জোর কদমে চলতে হবে একসঙ্গে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর