শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

নির্বাচনী রোডম্যাপ

সব পক্ষের আস্থা অর্জনে ব্রতী হোন

নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বুধবার ১৫ মাসের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এ বিষয়ে যে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা সম্পন্ন করতে ১৫ মাসের রোডম্যাপ জাতির সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। রোডম্যাপে আগামী সংসদ নির্বাচনের অর্ধেক আসন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাদবাকি অর্ধেক আসনে ভোট নেওয়া হবে ব্যালটে। অর্ধেক আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণের যৌক্তিকতা দেখিয়ে নির্বাচন কমিশন বলেছে, ব্যালটে ভোট হলে কেন্দ্র দখল করে ভোটের আগে-পরে ইচ্ছামতো বাক্সে ব্যালট ভর্তির সুযোগ থাকে। ইভিএমে সুযোগ নেই। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা সৃষ্টি; জাল ভোট, কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিনতাই ঠেকানোসহ ১৪টি চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে এ রোডম্যাপ বা কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা সৃষ্টি, অর্থ ও পেশিশক্তি নিয়ন্ত্রণ, নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা, সব দল কর্তৃক নির্বাচনী আচরণবিধি অনুসরণ, প্রার্থী এজেন্ট ও ভোটারদের কেন্দ্রে আসা নিশ্চিত করাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে। সবাইকে নির্বাচনী প্রচারে সমান সুযোগ দিতে সরকারের কাছে প্রস্তাব দেওয়াসহ ১৯টি উপায় নির্ধারণ করেছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি। নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে ২৯ রাজনৈতিক দলের মধ্যে সরাসরি ইভিএমের পক্ষে ১২ দল; সরাসরি ইভিএমের বিপক্ষে ছয় দল ও শর্তসাপেক্ষে ইভিএমের পক্ষে ১১টি দল মত দিয়েছে বলে কর্মপরিকল্পনায় উল্লেখ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে বিরোধী দল তা ইতোমধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপি বলেছে, তারা নির্বাচন কমিশনকেই মানে না রোডম্যাপ দিয়ে কী হবে।  আর জাতীয় পার্টি রোডম্যাপকে মূল্যহীন বলে অভিহিত করেছে। তবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সবাই নির্বাচনে আসবে এমনটিই তারা চান। এ প্রত্যাশা পূরণে সরকারকে যেমন বিরোধী দলের আস্থা অর্জন করতে হবে, তেমন নির্বাচন কমিশনকেও সব পক্ষের সম্মতি আদায়ে ব্রতী হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর