রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
ইতিহাস

চীনে ইসলাম প্রচার

চীনা মুসলিমদের কিংবদন্তি অনুসারে, ৬১৬-১৮ খ্রিস্টাব্দে মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর সাহাবা সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস, সাঈদ, ওয়াহাব ইবনে কাবছা এবং আরও একজন সাহাবা চীনকে ইসলাম ধর্মের সঙ্গে পরিচিত করে তোলেন। ওয়াহাব ইবনে আবু কাবছা আল-হারিস ইবনে আব্দিল উজ্জার সন্তান বলে চীনা মুসলমানদের ধারণা। ওয়াহাব ইবনে কাবছা ৬২৯ খ্রিস্টাব্দে সাগরপথে ক্যান্টনে পৌঁছান বলে ধারণা করা হয়। সুহায়লা আবুয়ারজা, উয়াইস করনি ও হাসসান ইবনে সাবিত এই তিন সাহাবাকে সঙ্গে নিয়ে সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস ৬৩৭ খ্রিস্টাব্দে আরব থেকে চট্টগ্রাম হয়ে চীনে যান এবং সাগরপথে আরবে ফেরত আসেন। কিছু সূত্রমতে চীনের সঙ্গে ইসলামের পরিচয় ঘটে ৬৫০ খ্রিস্টাব্দে সাদ ইবনে ওয়াক্কাস সম্রাট গাওজংয়ের দরবারে খলিফা উসমানের দূত হিসেবে চীনে তৃতীয়বারের মতো অবস্থানকালে। অর্থাৎ বাংলাদেশ হয়ে স্থলপথে আরব বণিক এবং ধর্মপ্রচারকরা যেমন চীনে গেছেন, তেমন চট্টগ্রাম বন্দরে বিরতি দিয়ে পৌঁছেছেন চীনা ভূখন্ডে। আধুনিক যুগে চীনে কিং সাম্রাজ্যের পতনের পর জাতীয়তাবাদী চীনের প্রতিষ্ঠাতা সান ইয়াত-সেন ঘোষণা করেন যে হান, মান (মানচু), মেং (মঙ্গোল), হুয়েই (মুসলিম) জাতি সমানভাবে চীনের দাবিদার। কুওমিনতাং দলের শাসনামলে দলটি মা ক্লিক নামক পরিবারের মুসলিম সেনাপতিদের কিংহাই, গানসু এবং নিনজিয়া প্রদেশের সামরিক প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করে। ওই আমলে বাই চংজি নামের একজন মুসলিম জেনারেল চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেন।

দ্বিতীয় চীন-জাপান যুদ্ধ চলাকালে চীনা মুসলমানরা বিদেশি হানাদারদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। ফলে চীনা মুসলমানরা জাপানিদের টার্গেট হয়ে দাঁড়ায়। জাপানিরা ২২০টি মসজিদ ধ্বংস করে এবং ১৯৪১ সালের এপ্রিলের মধ্যে অগণিত হুয়েই জনগোষ্ঠীর মানুষকে হত্যা করে। হুয়েই মুসলিমদের প্রদেশ দাচাং জাপানিদের হত্যাকান্ডের লক্ষ্যবস্তু হয়ে দাঁড়ায়। নানকিংয়ের ধর্ষণের সময় নানকিংয়ের মসজিদগুলো হত্যাকান্ডের শিকার মুসলমানদের লাশে ভরে যায়।

                মোহাম্মদ সোহেল।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর