শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

নারী ক্ষমতায়ন

প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব বাস্তবোচিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিঙ্গবৈষম্য দূর ও নারী ক্ষমতায়নের এজেন্ডা বাস্তবায়নে বিশ্বনেতাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি প্রত্যাশা করে জাতিসংঘে তিন দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছেন। ২০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দফতরের ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিলে সাধারণ পরিষদের সভাপতি কাসাবা কোরোসি আহূত ইউএনজিএ প্ল্যাটফরম অব উইমেন লিডার্সের উচ্চ র্যায়ের সম্মেলনে তাঁর ওই প্রস্তাব তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংকটের সময় নারীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই সংকটের কার্যকর সমাধান খুঁজে পেতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীদের যুক্ত করা দরকার। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মানব জাতির জন্য ইতিবাচক ফল আনার লক্ষ্যে ইউএনজিএ প্ল্যাটফরম অব উইমেন লিডার্স নেটওয়ার্ককে ব্যবহার করার এটাই উপযুক্ত সময়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রথম প্রস্তাবে লিঙ্গসমতা বিষয়ে উপদেষ্টা বোর্ড গঠনের সুপারিশ করে বলেন, এটি এখন স্থানীয়করণ করা দরকার। আমাদের সব স্তরে জেন্ডার চ্যাম্পিয়নদের প্রয়োজন, বিশেষ করে তৃণমূল স্তরে। এ ছাড়া নারী নেতৃত্বাধীন সুশীলসমাজ-সংস্থাকে পর্যাপ্ত রাজনৈতিক ও আর্থিক উপায়ে লালনপালন এবং সমর্থন করা প্রয়োজন। তিনি তাঁর দ্বিতীয় দফায় বলেন, এ ধরনের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সবশেষে তিনি লিঙ্গসমতার জন্য তাঁদের সাধারণ এজেন্ডাকে শক্তিশালী করতে নেতাদের একটি শীর্ষ সম্মেলন আহ্বান করার প্রস্তাব দেন। জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে লিঙ্গবৈষম্য দূর তথা লিঙ্গসমতা অর্জনে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রস্তাব সময়োপযোগী এবং তাৎপর্যপূর্ণ। মানবসমাজের অর্ধেকই নারী। সমাজের অর্ধেক অংশকে উপেক্ষা করে সত্যিকারের উন্নয়ন এবং কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষাপটে বলা যায়, সবচেয়ে সমস্যাসংকুল এলাকা হওয়া সত্ত্বেও গত অর্ধশতাব্দীতে বাংলাদেশে ঈর্ষণীয় উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে লিঙ্গসমতা অর্জন তথা নারী ক্ষমতায়নে

এগিয়ে থাকায়। এ কৌশলকে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হলে উন্নয়ন ও মানবকল্যাণে তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য অর্জিত হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর