শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা সমস্যা

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয়তা কাম্য

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যুতে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। নিউইয়র্কের হোটেল লোটে প্যালেসে রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে তিনি ওই আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের বিষয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতা সংগঠন আসিয়ানের দৃঢ় ভূমিকারও তাগিদ দেন। বলেন, মিয়ানমারের জনগণের জন্য শান্তি, ন্যায়বিচার এবং নিজেদের জন্মভূমিতে রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ এ সংস্থার শক্তিশালী ভূমিকার জন্য অপেক্ষা করছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আঞ্চলিক সংস্থা হিসেবে আসিয়ান প্রধান ভূমিকা নিতে পারে। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিতে রাখাইন রাজ্যের ওপর কফি আনান উপদেষ্টা কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের ব্যাপক প্রচেষ্টা গ্রহণ করা উচিত। বেসামরিক পর্যবেক্ষক হিসেবে তাদের অর্থবহ উপস্থিতি স্বেচ্ছায় নিজের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তনের জন্য রোহিঙ্গাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পাঁচটি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। এগুলো হলো- রোহিঙ্গাদের রাজনৈতিক ও আর্থিকভাবে সমর্থন করা। আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গাম্বিয়াকে সমর্থন করা; আন্তর্জাতিক বিচার আদালত, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং জাতীয় আদালতের কার্যক্রমে সহায়তা করা। জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অব্যাহত দমন-পীড়ন বন্ধে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। আসিয়ানের পাঁচ দফা ঐকমত্যের অধীনে মিয়ানমারকে তাদের প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে বলা, দৃঢ়ভাবে বলা। বাধাহীন মানবিক প্রবেশাধিকারের জন্য মিয়ানমার যাতে সম্মত হয় সে প্রচেষ্টা চালানো। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সমস্যা সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশ মিয়ানমারের বিরোধে জড়িত কোনো পক্ষ নয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও বাংলাদেশকে সংকটের বোঝা বইতে হচ্ছে। প্রাণভয়ে ১২ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নেওয়ায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক থেকে যেমন চাপের মুখে পড়েছে তেমন পরিবেশগত বিপর্যয় ঘটছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সক্রিয় হলে এ সংকটের দ্রুত অবসান নিশ্চিত হবে। বাংলাদেশও রক্ষা পাবে বিপর্যয়কর ঝামেলা থেকে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর