আউটসোর্সিং সেবাদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর চেয়েও এখন এগিয়ে। বাংলাদেশের ৭ লাখের বেশি তরুণ এ সেবার সঙ্গে যুক্ত। এদিক থেকে ৮ গুণ জনসংখ্যার দেশ ভারত কেবল বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। ২০১৮ সালে বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আউটসোর্সিং সেবাদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। আগের বছর বিশ্বের অন্যতম অভিজাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও পাঠদান বিভাগ অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়- আউটসোর্সিং বা অনলাইনে সেবাদানকারী দেশগুলোর মধ্যে সারা বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে ভারত প্রথম। তৃতীয় স্থানে যুক্তরাষ্ট্র। অনলাইনে শ্রমদান বা কাজের ক্ষেত্রে ভারত ২৪ শতাংশ অধিকার করেছে। আর বাংলাদেশ ১৬ এবং যুক্তরাষ্ট্র ১২ শতাংশ। যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, রাশিয়া, ইতালি, স্পেনও বাংলাদেশের পেছনে অবস্থান করছে। আউটসোর্সিংয়ে বিশ্বপরিসরে বাংলাদেশের অবস্থান তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার চিত্রই তুলে ধরেছে। এ ক্ষেত্রে প্রতিবেশী ভারত প্রথম স্থানে থাকলেও দুই দেশের জনসংখ্যার বিশাল পার্থক্য বিবেচনায় আনলে বাংলাদেশই সার্বিক বিবেচনায় এগিয়ে। তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশকে দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার যে মিশন শুরু হয় বর্তমান সরকার আমলে আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে অগ্রবর্তী অবস্থান তারই সুফল। আশা করা হচ্ছে, আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠবে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠবে এ খাতটি। তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতি বাংলাদেশের সার্বিক বিকাশেও অবদান রাখবে। অগ্রগতির বর্তমান ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হলে সার্বিক জাতীয় উন্নয়নে তথ্যপ্রযুক্তি পথ দেখাতে সক্ষম হবে। উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার সোপান তৈরিতেও তা অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়। এ উদ্দেশ্যে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে বিনিয়োগ আরও বাড়াতে হবে। আয়ের নতুন খাত বের করার উদ্যোগও নিতে হবে।