সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ডলার সংকট

আমদানিনির্ভরতা কমাতে হবে

ডলার সংকট থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় মিলছে না। আমদানি সংকোচন করার নানামুখী পদক্ষেপ সত্ত্বেও কমছে না ডলারের দাম। ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে গিয়ে ডলারের অভাবে বিপাকে পড়ছেন। ব্যাংকগুলো বাইরে থেকে ডলার এনে এলসি খোলার পরামর্শ দিচ্ছে ব্যবসায়ীদের। খাদ্য ও জ্বালানি তেল আমদানিতে এ বছর রেকর্ড পরিমাণ অর্থ ব্যয় হওয়ায় দেখা দিয়েছে ডলার ঘাটতি। বাড়তি মুনাফার জন্য কোনো কোনো ব্যাংক কারসাজি করছে এমন অভিযোগও প্রকট। ডলার সংকটে সরকার আমদানিসহ বিভিন্ন খাতে খরচ কমানোর উদ্যোগ নেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক বিলাসী পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করতে ১০০ ভাগ মার্জিন রেখে এলসি খোলার নির্দেশ দেয়। ডলারের বিপরীতে টাকার মান কয়েক দফা কমানো হয়েছে। এসব উদ্যোগেও কোনো সুফল অর্জিত হয়নি। বিভিন্ন ব্যাংকের চাহিদা বিবেচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রয়োজনের একাংশ সরবরাহ করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাজার স্বাভাবিক রাখতে ডলার সরবরাহ অব্যাহত থাকবে। রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তবে ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চাহিদার তুলনায় যে ডলার সরবরাহ করা হয় তা খুবই কম। ফলে ব্যাংকগুলোকে খোলাবাজার থেকে উচ্চদরে ডলার কিনতে হচ্ছে। ডলার সংকটে দেশের একাধিক ব্যাংকের সক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির জন্য এলসি খুলতে পারছেন না। বিলাসী দ্রব্যের এলসির ক্ষেত্রে কড়াকড়ি মেনে নিলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য এমনকি শিল্পের কাঁচামাল, চিকিৎসাসামগ্রী আমদানির জন্য এলসি খুলতে না পারা দুর্ভাগ্যজনক। বর্তমান সরকারের আমলে গত বছর পর্যন্ত ডলারসহ বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার দাম ছিল বেশ উঁচুতে। হঠাৎ করে গত ৭-৮ মাসে বৈপরীত্যের মুখে পড়েছে আর্থিক খাত। ডলারের বিপরীতে টাকার দাম কমেছে ২০ শতাংশের বেশি। বিশাল অঙ্কের চাল-গম আমদানি ডলার সংকটে ইন্ধন জুগিয়েছে।  প্রধান দুই খাদ্যপণ্যের পাশাপাশি ভোজ্য ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি ত্রিশঙ্কু অবস্থার জন্য দায়ী। যা এড়াতে বিশেষত খাদ্যপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর