বুধবার, ৫ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

বাড়ছে বিদ্যুতের দাম

দূর হোক লোডশেডিংয়ের অভিশাপ

বিদ্যুতের দাম আরেক দফা বাড়ছে। দাম বৃদ্ধির প্রস্তুতিও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে বাড়ছে পাইকারি দাম। তারপর বাড়বে খুচরা পর্যায়ে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর মালিক-মোক্তাররা প্রাথমিকভাবে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ দাম বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিলেও গ্রাহকদের প্রতি ‘কৃপা প্রদর্শন’ করে ১৫ শতাংশের মধ্যে রাখার চেষ্টা করছেন। দাম বৃদ্ধির বিষয়ে যাতে জনবিক্ষোভ দেখা না দেয় তা নিশ্চিত করতে গ্রাহক পর্যায়ে আপাতত দাম বাড়ানো হচ্ছে না। এ ব্যাপারে ঝোপ বুঝে কোপ দেওয়ার নীতি গ্রহণ করেছেন তাঁরা। বিদ্যুতের দাম কত শতাংশ বাড়বে তা নির্ভর করছে সরকার থেকে কতটা ভর্তুকি পাওয়া যাবে তার ওপর। বিদ্যুতের দাম ভোক্তা পর্যায়ে সহনীয় রাখতে সম্প্রতি সরকারপক্ষ থেকে ১৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশে বিদ্যুতের একক পাইকারি বিক্রেতা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। তাদের থেকে বিদ্যুৎ কিনে গ্রাহক বা খুচরা পর্যায়ে বিতরণ করে দেশের পাঁচ কোম্পানি। ১৮ মে বিদ্যুতের পাইকারি মূল্যহার বৃদ্ধি নিয়ে বিইআরসিতে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আইন অনুযায়ী গণশুনানির ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে মূল্যসংক্রান্ত বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে হিসেবে ১৪ অক্টোবর শেষ হচ্ছে বিইআরসির নির্ধারিত সময়। গণশুনানিতে বিপিডিবি বিদ্যুতের দাম ৬৯ শতাংশ বাড়িয়ে ইউনিটপ্রতি ৮ টাকা ৫৮ পয়সা করার প্রস্তাব দেয়। বর্তমানে বিপিডিবির সরবরাহ করা প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের পাইকারি দাম গড়ে ৫ টাকা ১৭ পয়সা। শুনানিতে বিইআরসির কারিগরি কমিটি বিদ্যুতের মূল্য ৫৮ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করে। যুক্তি দেখানো হয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে ইউনিটপ্রতি খরচ ৯ টাকার বেশি। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে দেশে নিত্যপণ্যের দাম আকাশ ছুঁতে চলেছে। বিদ্যুতের দাম বাড়লে বেড়ে যাবে কলকারখানায় উৎপন্ন প্রতিটি পণ্যের দাম। মানুষের জীবনযাত্রার খরচ বাড়বে। বর্তমানে চলছে লোডশেডিংয়ের দুঃসময়। বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের সময় লোডশেডিংয়ের অভিশাপ থেকে গ্রাহকদের মুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে- আমরা এমনটিই দেখতে চাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর